মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহপাকের নাজিলকৃত সর্বশেষ হেদায়াত। কুরআন প্রসঙ্গে আল্লাহ নিজেই বলেন, ‘এটি মানব জাতির জন্য একটি সুস্পষ্ট সতর্কবাণী এবং যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্য পথনির্দেশ ও উপদেশ’- আলে ইমরান ১৩৮। এটি মানুষের জন্য দয়াময় আল্লাহ তায়ালার বড় নেয়ামত। ‘পরম দয়ালু (আল্লাহ), তিনি তোমাদের কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন’- আর রহমান ১-২। মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকেই এই কুরআনকে জানা ও বোঝার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে কুরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দেয়। কুরআন বিশুদ্ধ করে পড়া এবং মর্ম উপলব্ধি করার জন্য গড়ে ওঠেছে অগণিত মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কুরআনের অসংখ্য তাফসির প্রণীত হয়েছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। মসজিদের ইমাম ও আলেম কর্তৃক নিয়মিত দারস ও তাফসির অনুষ্ঠান কুরআনের শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার অন্যতম মাধ্যম। বরেণ্য আলেমদের তাফসির মাহফিল ও ইউটিউবে কুরআনকেন্দ্রিক আলোচনা কুরআনের শিক্ষা প্রচারে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমপারার সুরাগুলো কুরআন মজিদের শেষে সন্নিবেশিত হলেও রসুলুল্লাহ (সা)-এর ওপর প্রথমেই অবতীর্ণ। এই সুরাগুলোয় তাওহিদ, রেসালাত ও আখেরাতের আলোচনা প্রধান্য পেয়েছে। ভালো-মন্দ কর্মের মূলে রয়েছে বিশ্বাস। উম্মাহর নৈতিক অধপতনের অন্যতম কারণ বিশ্বাসের দুর্বলতা। কুরআন অধ্যয়ন উম্মাহর আরোগ্য লাভে সহায়ক হতে পারে। কারণ আল্লাহ নিজেই কুরআনকে শিফা বলেছেন, ‘আমি কুরআনে যা কিছু নাজিল করি তা হচ্ছে মোমিনদের জন্য নিরাময় ও রহমত এবং জালেমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না’- বনি ইসরাইল ৮২। তাই দৈনন্দিন কর্মতালিকায় কুরআন অধ্যয়ন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যিক হওয়া দরকার। আখেরাতকেন্দ্রিক সুরাগুলো আমাদের বিশ^াসকে শানিত করে এবং তাতে অন্যায় অপকর্ম থেকে দূরে অবস্থান সহজ করে। কুরআন থেকে শেখা (দারসুল কুরআন, সুরা ফাতিহা ও আমপারা) সহজবোধ্য ভাষায় কুরআনের শিক্ষাকে তুলে ধরেছে। এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথাগুলোই স্থান পেয়েছে। আধুনিক শিক্ষিত পাঠকের জন্য কুরআন বোঝা সহজ হবে ইনশা-আল্লাহ।
Title
কুরআন থেকে শেখা দারসুল কুরআন (সুরা ফাতিহা ও আমপারা)