"প্রথম সূর্য" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিপুল জানমালের ধ্বংসাত্মক রক্তক্ষয়ী এক ভয়ানক যুদ্ধ। এই যুদ্ধের অগ্নিগর্ভে স্বাধীনতাকামী এক তরুণী ‘সুমিত্রা’র নারকীয় অভিজ্ঞতাই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে আন্দোলনরত পিতা অপহৃত হলে পরে তাঁর খোঁজে সুমিত্রা একাই থেকে যায় দেশে। মা এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে যায় ভারতে। কিন্তু তার পিতা যেমন ফিরে আসেনি তেমনি সেও—অনেক খোজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি। এর মধ্যে বেঁধে যায় ভয়াবহ যুদ্ধ। বন্ধ হয়ে যায় পালাবার সব পথ। তবু সে পিতার প্রত্যাবর্তনের আশায় বুক বাঁধে। এই অসহায় অবস্থায় ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায় পূর্বপরিচিত একটি খ্রিস্টান পরিবারের সহযােগিতায়। কিন্তু নয়টি মাসের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল তার জন্য জীবন-মরণের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর এক মানসিক অস্থিরতার লড়াই। পলাতক আশ্রয়ের মধ্যে ঘটেছে একাধিক বিপদসংকুল ঘটনা এবং দুঃস্বপ্ন। যা তাকে দিয়েছে আরাধ্য স্বাধীনতার জন্য নিরপরাধ মানুষের মাশুল প্রদান কতখানি হৃদয়বিদারক হতে পারে তার অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা এবং দিয়েছে স্বাধীনতার প্রথম সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করার মতাে বিরলতম এক মুহূর্ত! কিন্তু সুমিত্রার পিতা কি ফিরে এসেছিলেন? এসে থাকলে কী রূপে?