জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার অবদান চিরঅনস্বীকার্র্য। তিনি বালিকা বধূ থেকে সারাজীবন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গি হয়ে নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য। বাঙালি নারীদের মধ্যে যে ক’জন স্বমহিমায় উজ্জ্বল তার মধ্যে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবস্থানটি উপরের দিকেই। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস আমরা তাঁকে সেই সুমহান মর্যাদার আসনটি দিতে পারেনি। আমার দৃঢ় বিশ^াস মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পতিভক্তি, অসীম ত্যাগ, দেশপ্রেম আদর্শ গৃহিণী বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রচারবিমূখ একজন ছায়াতানেতা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অপরীসীম ত্যাগ, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান না পেলে আগামী প্রজন্ম কতটা বঞ্চিত হবে তা ভাবতেই ভীষণ কষ্ট লাগে। তাই এই গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া। গ্রন্থটি পড়ে কেউ উপকৃত হলে, বা ভবিষ্যতে কোন গবেষকের গবেষণা কাজের তথ্যসূত্র হিসেবে কাজে লাগলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।