তেইশ! সময় তােমার এখনি,জেগে উঠার। যুবক বয়স জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মনস্তাত্ত্বিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সম্পর্ক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির সমন্বয়ে যৌবনকালকে গড়ে তুলতে হয়। জ্ঞান-দর্শন ও মননে একজন ব্যক্তির বেড়ে উঠার উপযুক্ত ক্ষণ যৌবনকাল।আগামী ইসলামী সমাজ বিপ্লবের কান্ডারী আজকের যুব প্রজন্ম। মানুষের বয়সের ক্ষেত্রে তেরাে থেকে শুরু হওয়া তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চটকদার। টিন এজার (তেরাে থেকে উনিশ, তথা থার্টিন --Thirteen থেকে নাইনটিন -Ninteen) বলে আমরা মানব জীবনের যে সময়কালটাকে চিত্রিত করি, সেই সময়কালটা নিয়েই আমাদের আলােচনা চলবে। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা কেবলমাত্র তেরাে থেকে উনিশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবাে না, বরং এর কাছাকাছি সময়কাল নিয়ে কথা বলবাে। এই বয়সের সাথে যে উদ্যম, যে শক্তি ও সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে বা থাকে, তা নিয়েই বরং আমাদের আলােচনা উপস্থাপনাকে সীমাবদ্ধ রাখবাে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বিশ্বখ্যাত মানুষদের তেইশ বয়স সন্ধিক্ষণের কেমিস্ট্রি দেখিয়েছে। পাঠকবৃন্দ, তেইশ বয়সের একটি চমৎকার সমীকরণ দেখতে পাবে। ইসলামী আদর্শ ও নৈতিক শক্তির বলয়ে জ্ঞান, হিকমাহ ও আখলাকী চেতনায় যুবক সম্প্রদায় আবার জেগে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
কৃষ্টি আর কুষ্টি’র (পাট) জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়ার সন্তান জিয়াউল হক। জন্ম ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬০। তৎকালীন পাকিস্থান নৌবাহিনীতে কর্মরত পিতার কর্মস্থল করাচিতেই কেটেছে শৈশব-কৈশোর ও তারুণ্যের দিনগুলো। ১৯৭৪-এ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের ফিলিপনগর প্রত্যাবর্তন। মেন্টাল হেলথ্ নার্সিং, মেন্টাল হেলথ, সাইকিয়াট্রিক রিহাবিলিটেশন-এ পড়াশোনা করেছেন তিনি। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি থেকে মেন্টাল হেলথ, ইএমআই ও ডিমেনশিয়া ম্যানেজমেন্ট কোর্স শেষ করে ইংল্যান্ডেরই একটি বেসরকারি মেন্টাল হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার ও ক্লিনিকাল লিড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এখন লেখালিখিতেই ব্যস্ত। নাবিকের নোঙ্গর হয় ঘাটে ঘাটে। শৈশবেই খেলাচ্ছলে কলম হাতে নিয়ে লিখতে বসা, একজন নাবিক পিতার সন্তান জনাব জিয়াউল হকও জীবনের তিন-চতুর্থাংশ সময়ই দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পেরিয়ে চাকরির সুবাদে ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে অবস্থান করলেও নিয়মিত লেখালেখি করছেন। এ পর্যন্ত তাঁর তিরিশটি গ্রন্থ ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ‘বই খাতা কলম’, ‘মানব সম্পদ উন্নয়নে আল কুরআন’, ‘ব্রিটেনে মুসলিম শাসক’, ‘বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা’, ‘ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা’, ‘ইসলামি শাসন ব্যবস্থা : মৌলিক দর্শন ও শর্তাবলি’, ‘ধরণীর পথে পথে’, ‘অন্তর মম বিকশিত করো’, ‘একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ ও যুব মানস’, ‘তেইশ : দ্য টাইম টু রাইজ আপ’, ‘মন ও মানসিক স্বাস্থ্য’ ও ‘মুসলমান : এ নেশন অব দ্য বুক, আলোর ফেরিওয়ালা’ এগুলো অন্যতম। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সমসাময়িক বিষয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিন শতাধিক ফিচার, প্রবন্ধ ও কলাম লিখেছেন। লন্ডন ভিত্তিক বাংলা-ইংরেজি দ্বি-ভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ইউরোবাংলা’র তিনি একজন নিয়মিত কলামিষ্ট ছিলেন।