প্ৰাক্-কথন ওএল ৯৫.২ কারাকক্ষ থেকে জেনোফনকে বেরিয়ে আসতে দেখে সসম্মানে উঠে দাঁড়াল রক্ষী দু'জন। অভিবাদন জানিয়ে খুলে দিল কারাগারের সদর দরজার পাশের একটি ছোট দরজা, যেটি ব্যবহার করা হয় কেবল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের জন্য। অন্যমনস্ক ভাবে পর্যায়ক্রমে দু'জনের দিকে চেয়ে মাথা নোয়ালেন তিনি, তারপর সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলেন চিন্তাক্লিষ্ট মুখে। অ্যাক্রোপলিসের ও-পারে সূর্য তখন অস্তমিত। আলো জ্বলে উঠেছে এথেনা পার্থেনসের মন্দিরে। শহরের এ-পাশটা, অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কারাগারের দিকটা সাধারণ মানুষ এড়িয়ে চলে সচরাচর। তার ওপরে সন্ধ্যার মুখে রাস্তা প্রায় জনশূন্য। কিন্তু জেনোফন জানেন, কারাগৃহের অন্তরালে তাঁর আজকের সাক্ষাৎকারের কথা শত্রুপক্ষের কাছে গোপন থাকার নয়। পথের দু'পাশে তীক্ষ্ম দৃষ্টি বুলিয়ে নিলেন তিনি। পথের ওপারে তিনটি বাজে-পোড়া নিষ্পত্র পাইন গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে কঙ্কালের মত। গোধূলির প্রায়ান্ধকারে তাদেরই একটির নিচে জেনোফনের নজর গেল। গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে পড়ে থাকা একটি শীর্ণ শরীর। দূর থেকেও কোহলের ঝাঁঝালো গন্ধ এসে লাগল তাঁর নাকে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি লক্ষ করলেন, নেশাতুর শরীরের পাশে উল্টে পড়ে রয়েছে সুরাপাত্র, সঙ্গে একটি কাপড়ের ঝোলা।