"করোনাখুড়োর কীর্তিকলাপ" বইটির ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ এক বছর ধরে নাকে দড়ি দিয়ে সবাইকে লাইনে এনেছে করােনা ভাইরাস। যাদের মেরে-বকে ঘরে ঢােকানাে যায় না এই মাইক্রোস্কোপিক ভাইরাস তাদেরও টেনে-হিচড়ে একেবারে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। যারা ভাবেন ‘ভয়ের আগে জয় তাদেরকেও কাহিল করেছে ভয়তন্ত্রের শাসনে। একেবারে খুড়াে মার্কা এই কার্যকলাপে করােনাকে খুড়াে বলতে কারাে আপত্তি হবে বলে মনে হয় না। সেই করােনাখুড়াের মহা মহা কীর্তি নিয়ে প্লাবন গাঙ্গুলী লিখে ফেলেছেন আলাপ, তার স্বভাবসিদ্ধ ব্যঙ্গ-ব্যঞ্জনায়। স্রেফ করােনা খুড়াের কীর্তিকলাপ নিয়েই থামেননি, সাথে খুড়াের ভাতিজা-ভাতিঝিদের বেগড়বাই বহু কাজ-কম্ম নিয়ে মাথা চুলকে চুলকে সেগুলাে নিয়েও বলেছেন ভদ্রলােক। পড়তে পড়তে মনে হবে এ যেন ভয়ংকর ভাইরাস নয়, পরিবারের রক্ত-মাংসের কোনাে বদরাগী মুরুব্বি, যার সামনে সব এলােমেলাে ও তটস্থ হয়ে যায়। আসুন করােনাখুড়াের কীর্তিকলাপের আদি থেকে অন্ত নিয়ে খানিক বসি, পড়ি ও ভাবি। হাসতে হাসতে কান্না পেলে কেয়ার অফ লেখক একটা চিঠি লিখে দেবেন, কথা দিচ্ছি খেল খতম পয়সা হজম দুটোই হবে। আস্ত একটা ভাইরাসকে ‘খুড়াে’ ডাকার মধ্যে দোষের কিছু নেই। এই করােনাকালে চাল-ডাল-তেল-নুন-মাস্ক-স্যানিটাইজারের হিসেব মেলাতে মেলাতে বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-পরিজন-সহকর্মী-গৃহকর্মী সবাইকে যখন শারীরিক দূরত্বের নামতা মেনে দূরে দূরে রাখতে হচ্ছে, তখন এই বইটিকে, জীবাণুমুক্ত করে, আপনার চোখের একফুট সামনে ধরে, সাধারণ ছুটি কিংবা লকডাউনের দুপুরে, সামান্য একটু বেশি আহারের পরিশ্রমে চোখ বুজে আসার আগেই খতম করে ফেলতে পারবেন। করােনার মতােই স্পাইকযুক্ত এমন ‘করােনাময়’ পুস্তকের দেখা এর আগে এই বদ্বীপ তল্লাটে পাওয়া যায়নি।