এ বইটি এক অবাক করা মানুষের অনবদ্য জীবনকথন- যে মানুষটির প্রচারিত বাণী আজ প্রায় দেড় হাজার বছর পরে এসে পালন করছে প্রায় দেড়শ কোটিরও বেশি মানুষ। যে পৃথিবীর আলো বাতাসে একদিন তিনি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়েছেন, বদলে দিয়েছেন সে পৃথিবীটিকেই। কিন্তু আর আট-দশটি বইয়ের সাথে পার্থক্য হলো, এ বইটি যে সাংবাদিক লিখেছেন তিনি জন্মসূত্রে ইহুদী। যে ইহুদী সম্প্রদায়কে বৈরিতার চোখে দেখা হয়, সে সম্প্রদায়েরই একজনের লেখায় নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিতে যখন ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর মহানুভবতা উঠে আসে, তখন তো বইটি আলাদা হবেই! লেজলি হেইজেলটন মুহাম্মাদ (সা)-এর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোকে যেন জীবন্ত করে তুলে এনেছেন অক্ষরবন্দী করে। প্রাচীনতম সীরাত বইগুলোকে আশ্রয় করে সমসাময়িক ইতিহাসবিদদের বিশ্লেষণে তিনি তুলে এনেছেন দেড় হাজার বছর আগের হেজাজের মরুভূমিকে। চমৎকার গবেষণা আর অনুসন্ধান শেষে লেজলি হেইজেলটন লিখেন তার ‘দ্য ফার্স্ট মুসলিম’ বইটি, যেটি পড়লে মনেই হবে না আপনি কোনো জীবনীগ্রন্থ পড়ছেন, বরং মনে হতে পারে পড়ছেন শিহরণ জাগানো এক গল্প। কিন্তু গল্পটি সত্যি! কখনো আদর্শবাদী কখনো বাস্তববাদী, কখনও দীন-প্রচারক, কখনও শাসক আর বিচারক, কখনও বা জড়িয়ে পড়ছেন যুদ্ধে আর কখনও অহিংসার আদর্শ- কখন কী কারণে কবে কেমনটি হয়েছিলেন তিনি? বিশ্বনন্দিত ‘দ্য ফার্স্ট মুসলিম’ বইটির বাংলা রুপায়ণ ‘দ্য প্রফেট’ কেবল সেই মানুষটির জীবনকথাই নয়, বরং তাঁর চিরস্থায়ী এক কিংবদন্তির উপাখ্যান। কোটি কোটি মানুষের অন্তরে তিনি স্রষ্টা প্রেরিত শেষ নবী। সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের বইখানা পড়ে পাঠককুল হতাশ হবেন না আশা রাখি!