পদার্থবিদ্যা ও অধিবিদ্যার মধ্যে দূরত্ব কি সত্যি কমে আসছে?! এই প্রশ্নটি নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে সেইসব চিন্তাশীল মানুষের উচিৎ স্রষ্টার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব বিষয়ে ‘বিশ্বাস নিরপেক্ষভাবে’ চিন্তা করা। স্রষ্টার অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব বিষয়ক প্রশ্নটির সমাধানের উপায় হিসেবে দার্শনিকগণ মহাবিশ্বকে নির্ধারণ করেছেন। যদি প্রমাণ হয় যে, মহাবিশ্বের একটা ‘শুরু’ আছে। তাহলে প্রমাণ হবে মহাবিশ্বের একজন শুরুকারক তথা একজন “স্রষ্টা” আছেন। আর যদি প্রমাণ হয় যে, মহাবিশ্ব অনাদি ও চিরস্থায়ি তাহলে প্রমাণ হবে মহাবিশ্বের কোন স্রষ্টা নেই। তাই নাস্তিকগণ বরাবরই প্রমাণ করার চেষ্টা করে এসেছেন যে, মহাবিশ্ব অনাদি ও চিরস্থায়ী, মহাবিশ্বের কোন শুরু নেই। স্রষ্টার অনস্তিত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যে নাস্তিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের লেখা অনেক গ্রন্থ রয়েছে। তবে লেখক বিবেচনা করে এবং তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার আলোকে লিখিত হওয়ার কারণে বলা যায় ‘এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম’ এবং ‘দি গ্র্যান্ড ডিজাইন’ গ্রন্থ দুটি গুরুত্বের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ মানের। নাস্তিক পন্ডিতগণ মহাবিশ্বকে অনাদি ও চিরস্থায়ী প্রমাণ করার জন্য যত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও যুক্ত-তর্ক ‘এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম’ এবং ‘দি গ্র্যান্ড ডিজাইন’ গ্রন্থ দুটিতে উপস্থাপন করেছেন সে সমস্ত ভুল প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে এবং স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে যত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে তার বেশীরভাগই উক্ত গ্রন্থ দুটি থেকেই নেয়া হয়েছে। ফলে এই গ্রন্থটি বিশ্বাস নিরপেক্ষভাবে পড়লে একজন নাস্তিকের স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস সৃষ্টি হতে পারে, সংশয়বাদীদের সংশয় দুর হতে পারে, দুর্বল বিশ্বাসীদের বিশ্বাস দৃঢ় হতে পারে।
Title
মহাবিশ্বের তাত্ত্বিক প্রতিরূপ এবং নাস্তিক্যবাদ অবসানের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
মোঃ মিজানুর রহমানের জন্ম ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় ১৯৫১ সালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ধানমন্ডির আদর্শ কলেজ ও মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও জীবনভর তিনি ছিলেন ফিজিক্স, কসমোলোজী ও মেটাফিজিক্সের একনিষ্ঠ ছাত্র ও গবেষক। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষক ও ব্যবসায়ী। “মহাবিশ্বের তাত্ত্বিক প্রতিরূপ এবং নাস্তিক্যবাদ অবসানের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ” লেখকের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।