"সাতকাহন" বইটির 'মুখবন্ধ' থেকে নেয়াঃ পৃথিবীতে মানুষ আগমনের সাথে সাথে জমির সাথে তার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এই সম্পর্ক ধরে রাখতে হয় এবং সম্পর্কটাকে লালন-পালনের মাধ্যমে ধরে রাখতে হয়। এই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে মাঝে মধ্যে তৃতীয় পক্ষের আগমনও ঘটে। তাই জমির সাথে সম্পর্ক ধরতে রাখতে নিজেকে সচেতন রাখতে হয় নিয়মিত অন্যথায় সমস্যার কমতি ঘটে না। জমি সম্পর্কে নিজেকে সচেতন করতে যে সকল বিষয় জানা জরুরি- ভূমি জরিপ, দলিল, জমি ক্রয়-বিক্রয়, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, আইন, রেন্ট সার্টিফিকেট মােকদ্দমা, নিলাম, খাস জমি, জলমহাল, বালুমহল, জারা, অধিগ্রহণ, হুকুমদখল, ওয়াকফ, মােক্তারনামা, দেওয়ানী আদালত, বাটোয়ারা মােকদ্দমা, বায়নানামা, সুখাধিকার সহ বিভিন্ন সময়ে যেসকল ভূমি আইন ও গেজেট প্রকাশ করা হয় সে সকল বিষয়। বর্তমান সময়ের মহামারির নাম কভিড-১৯ (করােনা ভাইরাস) এবং আশা করি মহান আল্লাহ আমাদের এই মাহামারি থেকে আমাদের মুক্তি দিবেন। এই মাহামারি মধ্যেই লেখক-ইউটিউব কন্টেট মেকার জনাব আজিম উদ্দিন রচনা করেছেন জমি-জমা, আইন-আদালত, ব্যাংকিং, প্রবাসী ও ক্যারিয়ার বিষয়ক বই “সাতকাহন”। বইটি প্রকাশের পূর্বে আমার পড়ার সুযােগ হওয়ায় বলতে পারি সহজ ও সরল ভাষায় লিখিত লেখকের এই বইটি আইন অঙ্গনের সাথে জড়িত এবং যারা জমি-জমা, আইন-আদালত, ব্যাংকিং, প্রবাসী ও ক্যারিয়ার জনতে আগ্রহী রয়েছে সকলের জন্য সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে কাজে লাগবে। যুগে যুগে অর্থাৎ অতীতকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে বিরােধ দেখা যায়, তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, পাশাপশি এই বিষয় নিয়ে সাবলীল উপস্থাপনায় বই বাজারে নাই বললেই চলে, লেখক জনাব আজিম উদ্দিন এমন একটি কল্যাণমূলক বই রচনা করেছেন যা শুধুমাত্র আইন অঙ্গনের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বইটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং সাধারণ মানুষ উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন সহজেই। লেখক-ইউটিউব কন্টেন্ট মেকার জনাব আজিম উদ্দিন বিচক্ষণতার সাথে তার ইউটিউব চ্যানেল সাতকাহন এর কন্টেন্টসমূহের সাথে মিল রেখে বইটি রচনা করেছেন এবং যদি কোন পাঠক বইটি পড়ে আরাে ব্যাখ্যার প্রয়ােজন অনুভব করেন তিনি সাতকাহন চ্যানেল থেকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে আরাে পরিষ্কার ধারণা গ্রহণ করতে পারবেন। সহজ, সরল, প্রাঞ্জল, উপস্থাপনাসহ সকল দিক থেকে সাতকাহন বইটি আইনের ছাত্র-শিক্ষক, আদালতের আইনজীবী ও গবেষকমহলের গবেষণায় উপকারী উপাদান হিসেবে কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি। সাতকাহনের ঘােষণা * সাতকাহন বইটিতে সাহিত্যের মত সাধু ভাষা ব্যবহার না করে কথ্যভাষা বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।যাতে সহজে সবাই ভূমি,আইন,আদালত,ব্যাংকিং, বিনিয়ােগ বিষয়ে বুঝতে পারে। তাই ব্যাকরণের মানদন্ডে বইটি তুলানা না করাই উত্তম। * সাতকাহন বইটিকে কোন ভূমি আইন বা আইনের মানদণ্ড রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। * সাধারণ মানুষের ভূমি,আইন,আদালত,ব্যাংকিং,বিনিয়ােগ জ্ঞান বাড়ানাে এবং ভূমি নিয়ে নানান ঝামেলা থেকে মানুষকে দূরে রাখতেই বইটি লেখা। * সাতকাহন লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব লেখনী,লেখকের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা,পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনা,সরকারি বিভিন্ন গেজেট,ম্যানুয়াল ও আইন বিধিমালার সহায়তা নেয়া হয়েছে। * লেখকের অনুমতি ছাড়া বইয়ের কোন অংশ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে না। * বইয়ে উল্লেখিত বিভিন্ন নাম,ঠিকানা এবং ফর্ম নমুণা স্বরূপ দেয়া হয়েছে,বাস্তবে অস্তিত্বহীন।