উখিয়া কলেজের ইতিকথা ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ৬ সেপ্টেম্বর উখিয়ার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে ‘উখিয়া কলেজ’-এর ব্যানারে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বর্তমান ‘উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’-এর উঠানে। এতে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল তৎকালীন সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্র্ণ কাজে ঢাকা চলে যেতে হয়েছিল বলে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করার সৌভাগ্য হয়েছিল এমপির সহধর্মিণী মিসেস শাহীন জাহান চৌধুরীর। তখন তিনি উখিয়া টেকনাফের ফার্স্ট লেডি। প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি ছিলেন তৎকালীন ইউএনও জনাব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও তার সহধর্মিণী মিসেস কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি তখন কবি কামাল চৌধুরী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্র্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। সেদিন ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ এসএসসি উত্তীর্ণদের একটি কলম ও একটি গোলাপ দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছিল। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছিলেন প্রয়াত মাস্টার সাইফুল ইসলাম। আমি ও আমার মতো উচ্চ শিক্ষিত অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সেদিন থেকে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মাস্টার শুক্কুর সাহেবকে প্রস্তাবিত উখিয়া কলেজের কার্যক্রম চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ৪ মাস কলেজের কোনো কার্যক্রম হয়নি। কারণ প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুলের কাজ করতে করতে কলেজের কার্যক্রম চালানোর সময় ছিল না। অতঃপর শাহজাহান চৌধুরী এমপি সাহেবের নেতৃত্বে ৩১ ডিসেম্বরের সকাল ১০ টায় উখিয়া উপজেলা ইউএনও-এর হল রুমে প্রস্তাবিত উখিয়া কলেজের প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেন। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মিটিং শুরু হয়। মিটিং-এর শুরুতে শাহজাহান চৌধুরী এমপি. অতীতে যারা কলেজ করার চেষ্টা করেছেন, তাদের পক্ষ থেকে কলেজ নির্মাণের ম্যানুয়েল দেওয়ার আহ্বান করেন। কিন্তু সবাই বললেন, আমাদের কাছে কোনো ধরনের কলেজ নির্মাণ সংক্রান্ত ম্যানুয়েল নেই। তাহলে এতদিন কিভাবে কলেজ করার চেষ্টা করেছেন? সৌভাগ্যবশত আমি ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯০ বর্তমান কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে একটি ম্যানুয়েল যোগাড় করে রেখেছিলাম। ঐটার আলোকে সমস্ত কার্যক্রমগুলো করতে সুবিধা হয়েছিল। সেদিন ১ম মিটিংয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি নিম্নরূপ: ১. জনাব শাহজাহান চৌধুরী এমপি, সভাপতি। ২. জনাব এম. ফজলুল করিম, সদস্য সচিব। ৩. জনাব নুরুল ইসলাম চৌধুরী (প্রকাশ ঠান্ডা মিয়া), সদস্য। ৪. জনাব আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য। ৫. জনাব অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, সদস্য। ৬. জনাব অ্যাডভোকেট কাজী গিয়াস উদ্দিন, সদস্য। ৭. জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী, সদস্য। সে দিনের সভায় জনাব শাহজাহান চৌধুরী এমপি ১,০০,০০০/= টাকা অনুদান প্রদান করেন।