চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর থেকে চীনের হুবেই প্রদেশে এবং চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস। তারপর থেকে একের পর এক বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বাধাহীন। আক্রান্ত করেছে উন্নত দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা মানুষকে। কেড়ে নিয়েছে এবং নিয়ে চলেছে অসংখ্য মূল্যবান জীবন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থাগুলো প্রথম থেকেই নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসাবিজ্ঞানে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। নানা চিকিৎসা, স্বাস্থ্যবিধি, ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে এখনো গবেষণা—নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না—বলা যাচ্ছে না এর ভবিষ্যৎ গতিবিধি। স্বাস্থ্যবিধি, সচেতনতা-সতর্কতাই করোনা থেকে রক্ষার প্রধান কবচ।। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজ, অর্থনীতি, বাণিজ্য—সবই করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। তারপরও এ ভয়াবহ সংকট থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে হবে। এখন বিশ্বের কোথাও দ্বিতীয় ঢেউ, কোথাও তৃতীয় ঢেউ নতুন করে শুরু হয়েছে। সম্মিলিতভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অবশ্যই জয়ী হতে হবে । করোনা বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধের সংকলন এ বই। করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর। পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ বেশ স্বস্তিতেই ছিল। কিন্তু মার্চ ২০২১-এর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা—বিশ্বের অনেক অঞ্চলের মতো। এ বইয়ের প্রবন্ধগুলোয় করোনাভাইরাস, সংক্রমণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। লেখাগুলোয় গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য-উপাত্ত তুলে আনা হয়েছে। পাঠক বইটি পাঠে করোনাভাইরাস এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন এবং তাঁর করণীয় নিজেই ঠিক করতে পারবেন। বিগত ১৫ মাসের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত হয়েছে, যেসব দেশ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেছে, তারা ভালো আছে। এর সঙ্গে করোনার টিকা যুক্ত হয়ে মানবসমাজকে নিশ্চয়ই চূড়ান্ত রক্ষা দেবে। করোনা সংক্রমণের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে এই বই পড়ে পাঠকসমাজ নিশ্চিত উপকৃত হবেন।