`রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ হিজরি তৃতীয় শতাব্দিতে রচিত হেদায়াত অনুসন্ধানীদের পথ ও পাথেয় বিষয়ক একটি অমর গ্রন্থ। লিখেছেন খাইরুল ‘কুরুন’ বা ইসলামের শ্রেষ্ঠ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ইমাম হারেস আল মুহাসেবী রহিমাহুল্লাহ । ইলম, ইখলাস, তাকওয়া, পরহেযগারী, আত্মশুদ্ধি, তাসাউউফ ও দুনিয়াবিমুখতায় তিনি ছিলেন এক মহান ব্যক্তিত্ব। মানুষের ইহকাল ও পরকালের মুক্তির কথা চিন্তা করে রচনা করেছেন বহু মূল্যবান গ্রন্থ। ‘রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। উম্মাহর জন্য রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদ। এর প্রতি ছত্রে ছত্রে ও পরতে পরতে পাঠক এ কথাটির প্রমাণ পাবে। বইটি পাঠককে শুধু মুগ্ধই না বিমোহিত করবে। যারা ভয়ংকর এ ফেতনা-ফাসাদের যুগে মুক্তি পথের দিশা পেতে চায়, উত্তম পথ ও পাথেয় আশ্রয় করে নিজেদের গড়ে তুলতে চায়, জীবনকে কল্পনার মতো সুন্দর ও সফল করতে চায়, আত্মার অনাবিলতা ও চিন্তার শুভ্রতা লাভ করে স্রষ্টার প্রেমে বিলীন হতে চায়, তাদের জন্য এই বইটি হতে পারে সর্বোত্তম সহযোগী ও আদর্শ দিশারী । এই বইটি তাদের মাঝে সত্যোপলব্ধি ও শুদ্ধ বোধ সৃষ্টি করবে, তাদের আত্মশুদ্ধি ও পরকালের চিন্তায় ব্যাকুল করে তুলবে। এটি পড়ে তারা জানতে পারবে একজন মুমিনের জীবনের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী, নিজেকে সংশোধনের পদ্ধতি কী, চিরস্থায়ী সফলতা ও মুক্তির চাবিকাঠি কী, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায় কী? মুমিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নগুলোরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বড় অকৃত্রিম মমতায় ও পরম বিশ্বস্ততায়। বইটির পাতায় পাতায় । পূর্ববর্তীদের সুরভিত জীবনের সুরভিও ছিটানো রয়েছে এর মখমলকোমল রচনায়। শব্দের মূর্ছনায়। আবেগের ব্যঞ্জনায়। তাই ভয়ংকর ফেতনা-ফাসাদের এ যুগে, সর্বত্র চারিত্রিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের রমরমা এ বাজারে, আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো বস্তুবাদি চিন্তার দূষিত এ কালে বইটি শুধু একবার দুবার নয়, বারবার পড়ার বিকল্প নেই। গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা যায়েদ আলতাফ। পড়াশোনা তার কওমি মাদরাসায়। মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের ছাত্র তিনি। পরবর্তিতে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাফসির এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তারপর অনুবাদ, লেখালেখি ও সম্পাদনাকে ব্যস্ততা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে তার বেশ কয়েকটি অনূদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মাকতাবাতুন নূর থেকে এটি তার প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ।