রাসুলুল্লাহ ﷺ ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার পর [আমার উম্মতের] পুরুষদের জন্য নারী-জাতির ফিতনার চেয়ে অধিক ক্ষতিকর কোনো কিছু রেখে যাই নি।’ [সহিহুল বুখারি, হাদিস : ৫০৯৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৪০।] আজকে আমরা আমাদের সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাব সমাজের বড় ভয়ানক ফিতনাগুলোর অন্যতম—নারী-ফিতনা। আর এই ফিতনাকে সয়লাব করার জন্য বিভিন্ন রকমের কাজ হাতে নিয়েছে কর্পোরেট মিডিয়া। তারা বিভিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কর্পোরেট মিডিয়াগুলো নারী-স্বাধীনতার স্লোগান দিয়ে নারীদেরকে উলঙ্গপনার দিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সুন্দরী-প্রতিযোগিতায় ভোগপণ্য হিসেবে নারীকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। পোস্টার-বিলবোর্ড থেকে শুরু করে দু-টাকার শ্যাম্পু পর্যন্ত সকল প্রকার বিজ্ঞাপনের ভেতরে অর্ধনগ্ন নারীর ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। নাটক-সিনেমা, টেলিফিল্মের মাধ্যমে যুবকদেরকে নারী-আসক্ত হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিবাহবহির্ভূত অবৈধ প্রেম আর ভালোবাসা শিখিয়ে যুবকদের চরিত্রকে নষ্ট করা হচ্ছে। যে-যুবক ছিল উম্মাহর গৌরব, যে-যুবসমাজ ছিল উম্মাহর প্রহরী, সে-যুবসমাজ আজ উম্মাহর চিন্তা ছেড়ে দিয়ে গার্লফ্রেন্ডের চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে! যুবসমাজের চিন্তা হলো কীভাবে একটা গার্লফ্রেন্ড পাওয়া যায়; কীভাবে একটা বান্ধবী পাওয়া যায়! সবাই বান্ধবী খুঁজছে; সবাই ডানাকাটা পরী খুঁজছে! এই উম্মাহকে নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না! আজ আমাদের সমাজের অধিকাংশ যুবক এই ‘ফিতনাতুন নিসা’ নারী-ফিতনায় আসক্ত। এজন্যই তো রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি আমার পর পুরুষদের জন্য সবচেয়ে ভয়ানক যে-ফিতনা রেখে যাচ্ছি তা হলো—নারী।’ যে-নারী নিজ ঘরের সুন্দর, সেই নারীকে পণ্য বানিয়ে বাইরে এনে পুতুলের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে!