"জয় বাংলা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে কৌশলগত কারণে সরাসরি যুদ্ধ ঘােষণা না করলেও “আর দাবায়া রাখতে পারবা না” এবং “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বলে- মূলত বাঙালিদের যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দানই। করেছিলেন এবং ছাত্রলীগ নিউক্লিয়াস এর মাধ্যমে যুদ্ধের সূচনা করেন। একটি বিষয়ে আমরা দেখি ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর চট্টগ্রাম মহানগরীতে মৌলভী সৈয়দ - এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হয় “জয় বাংলা বাহিনী”। এই জয় বাংলা বাহিনীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কলেজে দীর্ঘ সময় চলে সামরিক প্রশিক্ষণ। '৭১ এর মার্চে এই বাহিনী অস্ত্রাগার ভেঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছিল। অন্যদিকে শহর, গ্রামে গেরিলা যােদ্ধারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্ত্র নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় যে সকল ঝটিকা হামলা, অপারেশনের মাধ্যমে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদরদের তটস্থ করে রেখেছিল, তাও প্রকাশ পেয়েছে খুবই কম। “জয় বাংলা” শ্লোগানটি আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে দারুণ উদ্দিপনা সৃষ্টি করতাে। “জয় বাংলা” শ্লোগানটির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের বহু পূর্বেই এ দেশটির স্বাধীনতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাঙালিকে, ইতিহাস আজ তাই বলে। গ্রন্থটির নামকরণ “জয় বাংলা” করে তাই গ্রন্থভূক্ত অধিকাংশ রচনায়, চট্টগ্রামের শহরের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব, উত্তাল মার্চে আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিরােধ এবং স্থানীয় ভাবে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি গণহত্যা, “গেরিলা যােদ্ধাদের কতিপয় অপারেশন ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এ ভাবেই বাংলাদেশের সকল এলাকায় সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ। সংক্রান্ত বিস্তারিত জানার পথ সুগম হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে, শুধু তাই নয়। ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনায়ও গ্রন্থটি সহায়ক হবে।