জন্মের পর থাকি হতিন-হতিন (সতিন-সতিন) খেলা টা আমার কপালে সিল মাইরা দিছে। আমার লাগি রাখছইন তাইন রঙিলা হতিন। আমি আম্মার পিছনে পিছনে ঘরে গিয়ে ঢুকালম। আম্মা খাঁটে শুয়ে পরলো লম্বা হয়ে। - আম্মা তোমার কিতা হইছে? -কিচ্চু না রে পুত, চিন্তা কইর না। - আম্মা বেটিরে কিচ্ছু বলমু। আমরার বাড়ির মাঝে আরেক বেটি বাড়ি বানাইয়া থাকবো,ইতা হইতো না। বেটিরে মাইরা বিদায় কইরা দেই। আম্মা আমার হাতে ধরে বললেন- - পারতায় না রে পুত । বেটির পিছনে তোমার বাপের মতো আরো হাজার হাজার জামাই আছে। --------- চিত্র জগতের গানের ডায়েরির পাতা উল্টাতে উল্টাতে পেয়ে গেলো গান। চিৎকার দিয়ে উঠলো- -ভাই পাইছি, পাইছি। বলে গান গাইতে শুরু করলো। আহাঃ কি গলা ! মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছি, তবে আমার আবার তাগদা আছে। প্রেম আমাকে ডাকছে। ছোট ভাইয়ের গানের টানে মনে হচ্ছে গান সম্পূর্ণ শেষ না করে থামবে না। ভালো ছাত্রদের স্বভাবই এমন তারা একনিষ্ঠ। তার মনোযোগ দেখে গান থামাতে বলতে পারছি না। আমার লাইন হইয়া যায় আঁকা বাঁকা লাইন হইয়া যায় আঁকা বাঁকা ভালো না হাতের লেখা আসো যদি বাঁশ বাগানে আসো যদি বাঁশ বাগানে আবার হবে দেখা গো আবার হবে দেখা - জৈষ্ঠ মাসে আম পাকে ভাদ্র মাসে পাকে তাল তোমার আসায় আমি বন্ধু তোমার আসায় আমি বন্ধু থাকবো কতকাল বলো থাকবো কতকাল। নানা সন্ধ্যায় এসেছিল নামাজ শেষ করে খাওয়া-দাওয়ার পরে ঘুমিয়ে গিয়েছে। গানের শব্দে ঘুম ভেঙে গেছে হয়তো। পাশের রুম থেকে বললেন- - ছোট মিয়াসাব, এই বয়সে লাইন ত্যাড়াব্যাড়া ই লাগে। আমার ও লাগতো তোমার ও লাগবো। কিন্তু লাইন সোজা রাখন লাগবো। তে আফামনির নাম ডা কওন যাইবো নি? ছোট ভাই লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। কাচুমাচু করে বললো- -নানা ইতা কিচ্ছু না,ভাই কইছে এর লাগী গান কইলাম। (আমি সাধারনত প্রেম কে কেন্দ্র করে লিখি না তবে নরম,স্পর্শকাতর প্রেম গল্পে থাকে। নক্ষত্র তুমি উপন্যাস টা ব্যাক্তিগত ভাবে আমার ভীষণ পছন্দের একটা লেখা। লিখেছি ও খুব আগ্রহ নিয়ে ৯০দশক মানে আমার শৈশব। শৈশবে কার না ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। সামাজিক প্রেক্ষাপট আর কৈশোরে প্রেম। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা ভালোবাসার মানুষ কে। সব মিলিয়ে জীবনের সাথে যখন প্রেম আসে তখন মাধুর্য টা অন্য রকম হয়। #তানজীনা_আফরিন_মেরিন