ধ্রুব দিব্যর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘শুধু ডাক্তার বলছেন কেন? আজকাল ইঞ্জিনিয়াররাও গণপিটুনি খাচ্ছে সমানতালে। সততা আর মেধা নিয়ে এদেশে জন্মানো পাপ।’ দিব্য বলল, ‘আমি তো বাবা প্ল্যান করে রেখেছি বিদেশে চলে যাব। এক পাতের নুন খেয়ে আরেক পাতের গুণ গাব।’ ধ্রুব কিছুক্ষণ চুপ থেকে স্থির চোখে প্রশ্ন করল, ‘দেশ হচ্ছে মায়ের মতো। ধরুন আপনার মায়ের শরীরে ক্যান্সার হয়েছে, তাই বলে চিকিৎসা না করিয়েই মাকে ছেড়ে চলে যাবেন? ক্যান্সার সারানোর কোনো চেষ্টাই করবেন না?’ মি. হক বললেন, ‘গুড কোয়েশ্চেন।’ দৃ বলল, ‘গুড না, জটিল প্রশ্ন।’ দিব্য বেশ ভায়োলেন্ট ভঙ্গিতে বলে গেল, ‘না, আমি করব না। কারণ আমি চাই না আমার সততার কারণে আমার বাচ্চা এতিম হোক। আমি চাই না আমার বাচ্চা মাধ্যমিক না পেরোতেই ধর্ষিত হোক। আমি চাই না আমার বাচ্চা হঠাৎ একদিন সত্যি বলার অপরাধে খুন হোক। আপনি সারুন দেশ মাতার ক্যান্সার। তারপর একদিন রহস্যময় মৃত্যুর পর শহীদের বদলে শিবির খেতাব নিয়ে কবরে গিয়ে শান্তির ঘুম দিন। ডিসগাস্টিং যত্তসব।’ বলেই দিব্য উঠে বেসিনের দিকে চলে গেল। মি. হক অবাক হলেন। তার মেয়ে দেশ নিয়ে এত জানে তিনি জানতেন না। সাথে তিনি ভয়ও পেলেন। এই দেশে যত কম জানা যায় তত ভালো।