জানালার ফাক দিয়ে উঁকি মারলে দেখা যায় পাখিরা ওড়াউড়ি করছে। আর ডাকাডাকি করছে অবিরাম। তখন কবির মনে তাক লেগে যায়। ভরদুপুরে কবি কি তখন বসে থাকতে পারে? অবিরাম লিখে যায় কবিতা আর ছড়া। এ হচ্ছে ‘ছিল ছড়া হলো পাখি’র মূল সুর। এই বইয়ের কবি লেখালেখিতে তরুণ কিন্তু তার লেখা অনেক জাত কবিকেও হার মানায়। তার এই বইয়ের মধ্যে আছে যতসব পাখির কবিতা। কোনো পাখি উড়ে যায়, কোনো পাখি দূরে যায়। কোনো পাখি গাছের ডালে নাচে আবার কোনো পাখি পাতার ফাঁকে খাবার খোঁজে। পাখিদের এই বর্ণনা একজন জাত কবি ছাড়া লেখা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি লেখা পাখিদের নিয়ে হলেও এখানে আছে দেশের কথা, মানুষের কথা, মানুষের স্বপ্নের কথা এবং পাশাপাশি মানুষকে মানুষের মতো হয়ে ওঠা। এই বইয়ে আছে স্বাধীনতার কথা, একুশের কথা, নদীর কথা এবং স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠার কথা। কবির ভাষায় বলা যেতে পারে এই বই যারা পড়বে তারা অনায়াসে বলতে পারবেÑ একদিন আমাদেরও হবে। এই বইয়ের প্রত্যেকটি লেখায় আছে বিশুদ্ধ ছন্দের কারিকুরি, শব্দের ছন্দোময় মিউজিক এবং কবিতার বাকপ্রতিমা। আমাদের শিশুরা এই বই পড়ে যতটুকু আনন্দ পাবে তার চেয়ে বেশি পাবে চিন্তার খোরাক। শুধু তাই নয় বড়োরাও এই বই থেকে আহরণ করতে পারবে আমাদের পরিবেশের অনেক তথ্য-উপাত্ত।