রচনায় ড. মীর মনজুর মাহমুদ মুহাম্মদ এনামুল করিম এম. আফতাবুজ্জামান ❐ ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসেবে তার অনুসারী প্রত্যেক নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করাকে ফরয করা হয়েছে। তাই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের প্রথম নির্দেশ ‘ইকরা’ বা পড়ো। অর্থাৎ জ্ঞানার্জন করো। এই নির্দেশ মানবতার প্রতি, বিশেষ করে মুসলিম জাতির প্রতি। আমরা এও জানি যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা বলেছেন, সেটিই জ্ঞানের মূল উৎস। এ দু’টি উৎসের সাথে পৃথিবীর সকল জ্ঞানকে মিলিয়ে নিতে হবে। মানুষকে আল্লাহ্ তাআলা জ্ঞাননির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন, মর্যাদা দিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা হিসেবে। কিন্তু জন্মগতভাবে বা এমনিতেই মানুষ এ মর্যাদা লাভ করতে পারে না। এটা তাকে অর্জন করতে হয়। আর তা আসে শিক্ষা ও উত্তম চরিত্র গঠনের মধ্য দিয়ে। তাই আমাদের সন্তানদেরকে শিশুকাল থেকেই ইসলামের সঠিক শিক্ষা এবং সুন্দর চরিত্র গঠনের তা’লিম দিতে হবে। ইসলামের সঠিক জ্ঞানই তাদের দিতে পারবে উন্নত নৈতিক শিক্ষা। বলা হয়, এ ক্ষত্রে ধর্মীয় শিক্ষা মানবচরিত্রের পাহারাদার। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে ‘ছোটদের ইসলাম শিক্ষা’ নামের একটি বই-ই যথেষ্ট নয়। তবে এটি সামান্য হলেও সন্তানদেরকে ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান দেয়ার জন্য সহায়ক হবে আশা করি। বইটিতে সর্বমোট ১৪টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে। এখানে ইসলামের আকিদা-বিশ্বাস, নবী-রাসূল, আসমানী কিতাব, হালাল-হারাম, শরী’আতের বিভিন্ন বিধান সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করতে, প্রতিটি বিষয়ের আলোচনাকে প্রামান্য করতে কুরআন ও হাদীসের রেফারেন্স দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি অধ্যায়ে ইসলামের মৌলিক সাধারন জ্ঞান এবং আরেকটি অধ্যায়ে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কিছু মাসনুন দু‘আ অর্থসহ উল্লেখ করা হয়েছে এবং খারাপ কাজ হতে বিরত থাকার ব্যাপারে উৎসাহ যোগানো হয়েছে, যা তাদের জীবন চলার পথে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে। ❐ বইটি প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে/মাদরাসায় পাঠ্য যোগ্য। ❐ মাদ্রাসা /স্কুলের শিক্ষার্থী এবং আরবী শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রয়োজনীয় এবং সংরক্ষন উপযোগী।
ড. মীর মনজুর মাহমুদ। একাধারে লেখক, শিক্ষক, গবেষক, প্যারেন্টিং কাউন্সিলর ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। জন্ম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামে। শৈশব-কৈশোরে বেড়ে উঠেন স্কুল শিক্ষক বাবার নিবিড় তত্ত্বাবধানে। পড়াশুনা করেছেন ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে। কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি. ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া’র আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে। কর্মজীবন শুরু করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রায় দুই দশক পড়িয়েছেন সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটি, আই আই ইউ সি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে। বর্তমানে তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজের প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা (খ-কালীন) করছেন। পাশাপাশি সেন্টার ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (সিএডিটি) নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি ও নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। স্বপ্নচারী ড. মাহমুদ বেশকিছু আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন: তুরস্কভিত্তিক এশিয়ান ফিলোসোফিক্যাল এসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনীস্থ লিডারশীল ইউনিভার্সাল কলেজ, ইউএসএ-ভার্জিনিয়াভিত্তিক একাডেমিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (বিআইআইটি) প্রমুখ-এর সাথে যুক্ত। প্রাণময় আদর্শ পরিবার ও ঐক্যবদ্ধ মানবিক সমাজ বির্নিমাণে চারপাশকে পরিগঠিত ও অনুপ্রাণিত করতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে ড. মাহমুদের স্বাচ্ছন্দ্য উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তিনি প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকেন এই স্বপ্নেরই সারথি হিসেবে। ড. মাহমুদ রচিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হল: অনুভবে রমাদান, ঐক্য ভাবনা, কাবাযাত্রীর অসিয়ত ও নসিহত, ছোটদের ইসলাম শিক্ষা (সহ-লেখক), Islamic Studies for Kids- Part I & II (Co-author), Family Institution Social Welfare and Welfare Society: Conventional and Islamic Approach (Co-author) এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ইমাম।