কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু হয়েছিল। এক সময় লিখেছিও অনেক। তখনকার কবিতায় ভূমি ছিল স্বল্প কিন্তু স্রোত ছিল প্রবল। এখন ভূমি বিস্তৃত হচ্ছে কমে আসছে - স্রোত। এই পরিণত বয়সে এসে এখন মনে হয় কবিতাই আমার কাছে সাহিত্যের কঠিনতম মাধ্যম। একটি কবিতা আমি অসংখ্যবার লিখি। কাটাকাটি করি। শব্দের পিঠে শব্দ বসাই। মনে হয় একই কবিতা আমি আমৃত্যুকাল সংযোজন বিয়োজন তথা সংশোধন করে যেতেপারি। সেই অতৃপ্তিবোধের কারণেই হয়তো কবিতার বই প্রকাশ আমার কাচে স্পর্শাতীত এক স্বপ্ন হয়েই থাকে। এবং তা স্বপ্ন হয়েই থাকতো যদি না আমার ভ্রাতুস্পুত্র অঙ্কনশিল্পী ও কবি আসাদ ইকবাল সুমন ও ছোট কাগজ ‘ডানার কড়াত’ এর সম্পাদক ও তরুন প্রতিশ্রæতিশীল লেখক মাহাবুব হাসান আমাকে ক্রমাগত তাগাদা দিতো। যদি না আবৃত্তিশিল্পী রেডিও উপস্থাপক কবি সুমগ্ন সৌর তার মোহন আবৃত্তি দিয়ে আমার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিতো। সুতরাং আমার প্রথম কবিতার বই প্রকাশের সকল কৃতিত্ব এই সম্ভাবনাময় তরুণদের এবং ব্যর্থতার দায়ভার পুরোই আমার। গ্রাফিক ডিজাইনার ও লেখক রহমান ইমন তার সৃষ্টিশীল মেধার মাধুরী মিশিয়ে বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করে দিয়ে আমাকে কৃতার্থ করেছে। আমার লেখালেখির সতীর্থ, চিন্তা চেতনার সহযাত্রী, সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সফল লেখক ও গবেষক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ কবিতাগুলি পড়ে এবং দীর্ঘকাল পাশাপাশি চলার অভিজ্ঞতায় বইয়ের জ্যাকেট ফ্লাপ কপি লিখে বইকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রথমবারের মতো কবি হয়ে ওঠার এই মাহেন্দ্রক্ষণে এদের সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম।