মেয়েটা হাসতে হাসতেই পুকুরে ফেলে দিলো নিজের কোলে থাকা কয়েদিনের বাচ্চাটাকে। বাচ্চার আত্মচিৎকার শুনে শূন্য থেকেই যেন লাফিয়ে পড়লো এক যুবক। মুহুর্তেই পুকুর থেকে ডুবন্ত বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে উঠে এলো সে। বাঁচবে তো বাচ্চাটা! কে এই মেয়ে! কেনোই বা পানিতে ফেলে দিলো নিজের বাচ্চাকে! মধ্যরাতে গভীর ঘুমে যখন আচ্ছন্ন সবাই। মেয়েটি যুবকের ঘরে গিয়ে বললো, “আমি তোমাকে ছাড়বোনা মাহমুদ!” কী চায় সে? কেনোই বা যুবটিকে এমন হুমকি দিয়ে কথা বললো মেয়েটা! রাত তিনটা উনত্রিশ মিনিট। অন্ধকার রাস্তায় ছুটে চলেছে এক যুবক। পেছন থেকে ভেসে আসছে লাইবার সেই আহবান “হাইতা লাক, হাইতা লাক” এদিকে এসো! আমাকে গ্রহণ করো.. পেছনে লাইবা আর সামনে থেকে ধেয়ে আসছে পুলিশ! এরপর? এরপর কী হলো সে যুবকের পরিণতি?? আরশের ছায়ায় আশ্রয় চাওয়া এই যুবকের নাম মাহমুদ৷ দুনিয়ার নানামুখী ফিৎনার সাথে প্রতি মূহুর্তে সংগ্রাম করে যাচ্ছে৷ প্রতিনিয়ত চলছে নিজের নাফসে আম্মারার সাথে টিকে থাকার সংগ্রাম। শয়তান তার সুশোভিত পাপের সুক্ষ্ম বেড়াজালে রোজ যাকে আটকে ফেলতে চায়, সে কী করে নিজেকে বাঁচাবে নানামুখী এই ফিৎনা থেকে? খুব ছোটবেলায় মা হারানো নিষ্পাপ চেহারার সেই তরুণ ছেলেটা, যার কিনা ঠাঁই হয়নি কোথাও! কোনো বাড়িতেই.. সে কি ভেসে যাবে দুনিয়ার নানামুখী এই স্রোতে? মধ্য দুপুরে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাতের উপর বসে হাউমাউ করে কাঁদছে জারা এবং তার ছোট্ট সন্তান। কে এই জারা? কেন কাঁদছে সে এমন করে! কেনই বা তার সন্তানও মায়ের কান্নায় সঙ্গ দিচ্ছে! কী কষ্ট থাকতে পারে এদের!