নিশু আপু হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বললেন- ম্যাডাম, আমার বাচ্চাটা কি নেই? ম্যাডাম বললেন- সেটাই বুঝিয়ে বলছি।আপনি একটা অস্বাভাবিক গর্ভধারণ করেছেন। যেটাকে মেডিকেলের ভাষায় - “মোলার প্রেগনেন্সি” বলে। এই রকম কেস ১০০০ প্রেগনেন্সিতে একটা হতে পারে। আমি, ভাইয়া ও আপু অবাক হয়ে ডাক্তার ম্যাডামের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। নিশু আপু অবাক হয়ে কাঁদতে ভুলে গেছে। ডাক্তার ম্যাডাম তার মত করে বলেই যাচ্ছেন - মোলার প্রেগনেন্সি হল এমন একটা অস্বাভাবিক প্রেগনেন্সি , যেখানে গর্ভধারণের সব লক্ষণ থাকলেও আদতে সেটা স্বাভাবিক নয়। যেমন ধরেন আপনার অন্যান্য সবার তুলনায় প্রচুর বমি হয়েছে ..হয়নি? নিশু আপু সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন। -তারপর ধরেন স্বাভাবিক প্রেগনেন্সিতে রক্তপাত হয় না। কিন্তু মোলার প্রেগনেন্সিতে ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার মানে প্রথম তিনমাসের মধ্যেই রক্তপাত হয় এবং মাঝে মাঝে আংগুরের থোকার মত রক্ত যায়। সাথে তলপেটে ব্যথা হয়। স্বাভাবিক গর্ভধারণে বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল থেকে পুষ্টি পায়।কিন্তু মোলার প্রেগনেন্সিতে গর্ভফুল তৈরি না হয়ে একটা টিউমারের মত জিনিষ তৈরি হয়। মোলার প্রেগনেন্সি দুই ধরনের হয়। একটা হচ্ছে পারসিয়াল মোল যেখানে ছোট একটা বাচ্চাও থাকতে পারে। কিন্তু সেই বাচ্চা কখনোই আলোর মুখ দেখতে পারে না। আরেকটা হচ্ছে কমপ্লিট মোল যেখানে কোন বাচ্চাই থাকে না। যেটা আপনার হয়েছে।