বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্ব মানবতা ও শান্তিকামী মানুষের আদর্শ। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণ ও তার নেতৃত্বে মন্ত্রমুগ্ধের মতো জাদুকরি শক্তি ছিল। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে একটুও ভাবেননি। নেতৃত্বের উচ্চতায় ও চরিত্রের দৃঢ়তায় রাষ্ট্রনায়ক জননেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আর কারও তুলনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু এমন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব; যিনি ত্যাগের মহিমা ও দেশপ্রেমের কঠিন পরীক্ষায় সম্পূর্ণরূপে উত্তীর্ণ। তিনি বাঙালির প্রাণের প্রদীপ ও বাংলার আকাশে স্বাধীনতার উজ্জ্বল নক্ষত্র। বঙ্গবন্ধুই বাঙালির ইতিহাস, সমগ্র বাঙালি জাতি তার কাছে চিরঋণী। তাই আবারও জোর দিয়ে বলতে চাইÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের বিরল নেতৃত্ব, বিশ্ব নেতা; হাজারও গুণে গুণান্বিত আমাদের জাতির পিতা। চেতনায় সবসময় ছিল তার দেশের জনগণের ও বিশ্বের মানুষের উন্নতি ও কল্যাণ। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম মহৎ গুণ ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি। নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল প্রবল। দেশকে তিনি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অবিচল বিশ্বাস। নিপীড়িতশোষিত মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে নিজ সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের প্রশ্ন করেছিলেন ‘আপনার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা কী?’ এ প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি।’ ডেভিড ফ্রস্টের ‘আপনার বড় দুর্বলতাটা কী?’ এ প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসি।’ আর এই ভালোবাসার প্রতিদান বাঙালি কোনোদিনও দিতে পারবে না। আমার এই বইটির প্রত্যেকটি কবিতা হিমালয় সমান ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারবে নাÑ হয়তো ভালোবাসার বদলে ভালোবাসা দিতে পারে। বাঙালি জাতির মহানায়ক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে বইটি উৎসর্গ করলাম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু