মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ভূঞা একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। যিনি দেশ-মাতৃকার স্বাধিকার আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসামান্য গৌরব লাভ করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি দেশ-মাতৃকার স্বাধিকারের তীব্র বাসনা নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের একজন অন্যতম কর্মী হিসেবে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আদর্শবান অনেক রাজনীতিবিদের সংস্পর্শে আসেন। তিনি আশৈশব ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন, অকুতোভয়। পাকিস্তান আমলে জাতীয় শ্রমিক সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ’ গড়ে উঠে। কিন্তু এ সংগঠনকে গড়ে তোলার জন্য যার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল, তিনি হলেন বাংলাদেশের স্থপতি, শ্রমিকজনতার অতি আপনজন, বাংলার আপামর জনতার নয়নমণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় শ্রমিকলীগ গড়ে উঠার গোড়ার কথা, নানা অজানা ইতিহাস, বিশ্ব শ্রমিক সংগঠন এবং তাদের কর্মকৌশল ইত্যাদি বহু বিষয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ভূঞা এ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটিতে তুলে ধরেছেন নিখুঁতভাবে। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা আইএলওসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সভা-সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদিতে যোগ দেয়ার জন্য তিনি বিশ্বের প্রধান প্রধান প্রায় সব দেশেই ভ্রমণ করেছেন একাধিক বার। শুধু ভ্রমণ, সাংগঠনিক বিষয়ের আলোচনা এবং শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এ মূল্যবান গ্রন্থে স্থান পায়নি, বরং গ্রন্থটির বিশাল অংশজুড়ে বিশ্বের নানা দেশের পর্যটন এলাকা, ঐতিহাসিক নিদর্শন, জনসাধারণের জীবনধারা, সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক, অর্থনৈতিক তুলনামূলক আলোচনা, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনসহ আরো বহু বিষয়কে বেশ মনোহর বর্ণনাভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু, গবেষক ও ইতিহাস-গবেষক পাঠকের কাছে এ বিষয়গুলো বেশ উপাদেয় মনে হবে নিশ্চয়। মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ভূঞা একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। যিনি দেশ-মাতৃকার স্বাধিকার আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসামান্য গৌরব লাভ করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি দেশ-মাতৃকার স্বাধিকারের তীব্র বাসনা নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের একজন অন্যতম কর্মী হিসেবে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আদর্শবান অনেক রাজনীতিবিদের সংস্পর্শে আসেন। তিনি আশৈশব ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন, অকুতোভয়। পাকিস্তান আমলে জাতীয় শ্রমিক সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক লীগ’ গড়ে উঠে। কিন্তু এ সংগঠনকে গড়ে তোলার জন্য যার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল, তিনি হলেন বাংলাদেশের স্থপতি, শ্রমিকজনতার অতি আপনজন, বাংলার আপামর জনতার নয়নমণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় শ্রমিকলীগ গড়ে উঠার গোড়ার কথা, নানা অজানা ইতিহাস, বিশ্ব শ্রমিক সংগঠন এবং তাদের কর্মকৌশল ইত্যাদি বহু বিষয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ভূঞা এ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটিতে তুলে ধরেছেন নিখুঁতভাবে। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা আইএলওসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সভা-সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদিতে যোগ দেয়ার জন্য তিনি বিশ্বের প্রধান প্রধান প্রায় সব দেশেই ভ্রমণ করেছেন একাধিক বার। শুধু ভ্রমণ, সাংগঠনিক বিষয়ের আলোচনা এবং শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এ মূল্যবান গ্রন্থে স্থান পায়নি, বরং গ্রন্থটির বিশাল অংশজুড়ে বিশ্বের নানা দেশের পর্যটন এলাকা, ঐতিহাসিক নিদর্শন, জনসাধারণের জীবনধারা, সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক, অর্থনৈতিক তুলনামূলক আলোচনা, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনসহ আরো বহু বিষয়কে বেশ মনোহর বর্ণনাভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু, গবেষক ও ইতিহাস-গবেষক পাঠকের কাছে এ বিষয়গুলো বেশ উপাদেয় মনে হবে নিশ্চয়।
মো. মজিবুর রহমান ভূঞা ১৯৪৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তারাবো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হামির উদ্দিন ভূঞা এবং মাতা সফুরা বেগম। তিনি স্থানীয় বাওয়ানী হাইস্কুল, নটরডেম কলেজ এবং সর্বশেষ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। ৬ দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের পর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মানবাধিকার আন্দোলন, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনে তিনি সক্রীয় অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে মো. মজিবুর রহমান ভূঞা তিনি বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক; আইবিসি’র চেয়ারম্যান; বিলস-এর ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনরত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন ITUC ইন্ডাস্ট্রিয়ালঅল-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় অনিয়মিতভাবে কলামও লিখেন।