সকাল আটটায় কলেজে যেতে হলো। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। উপস্থাপনার দায়িত্ব আমার উপরই পড়েছে। তাই ঘুম থেকে উঠেই প্র¯‘তিনি”ছিলাম। বিশাল মাঠের দক্ষিণপ্রান্তে মঞ্চ করা হয়েছে। অবকাঠামোর সৌন্দর্য চেয়ে দেখার মতো। অফিস, একাডেমিক ভবন, দুটি ল্যাব ও দুটি হোস্টেল নিয়ে মোট নয়টি বহুতল ভবন সহজেই মানুষকে মুগ্ধ করে। উপজেলা পর্যায়ে সচরাচর এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখা যায় না। তাই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে মানুষের মুখে মুখে। দেখতে যেমন প্রতিষ্ঠানটির আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে তেমনি মানসম্মত শিক্ষাদানেও কয়েক জেলায় শীর্ষে। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে মঞ্চ হয় তারও একটি মাধুর্য থাকে। পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হয় সেই সৌন্দর্য চারপাশে। দর্শকসারির সকলের চোখে বিস্ময় জাগে। খুবই সাদাসিধে সাজসজ্জা। কিš‘ নানারঙের কাঁচাফুল দিয়ে নিপুন হাতে যে শিল্পী এমন রূপ দিয়েছে তার প্রশংসা করতে হয়। এমন রুচি নিয়ে সবাই জন্মায় না, কেউ কেউ জন্মায়। এমন একটি পরিবেশে উপস্থাপনার বোধ হয় প্র¯‘তির দরকার হয় না। তারপর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের পূর্তি উপলক্ষে দশদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান। উনিশশো একাত্তর সাল আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। জীবনের কোনো একটি মুহূর্ত এই একাত্তরকে ভুলে থাকতে পারিনি।