কেবলমাত্র দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে কোনো দেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করলেও মানবিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি এসব অর্জনকে অর্থহীন করতে পারে । আবার শুধুমাত্র মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে যে শিক্ষা পরিচালিত হয় সে শিক্ষা হয়তো অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হয় না বেশিদূর। মূলত এই দুইয়ের যৌথ-যূথবদ্ধ পথচলাই সফলতা এনে দিতে পারে । আমরা দেখি, অসুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নানারকম ধ্বংসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রনীতি নিষিদ্ধ হলে সেখানে একটি রুগ্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি স্থান করে নেয় । তৈরি হয় রাজনৈতিক চেতনাহীন মানুষ । যখন নেতৃত্বের গুণাবলি ও সুশাসনের প্রসঙ্গ আসে, সেখানে রাজনৈতিক চেতনাহীন মানুষ কেবল আত্মকেন্দ্রিক সমৃদ্ধির পেছনে ছোটে। উপেক্ষিত থাকে সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সুশাসন প্রক্রিয়া । শিক্ষার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আছে । রাজনীতির সঙ্গে আছে শিক্ষার । অর্থনীতির সঙ্গেও রাজনীতি ও শিক্ষার সম্পর্ক রয়েছে । শিক্ষা রাজনীতি ও অর্থনীতি দুটোকেই প্রভাবিত করতে পারে যদি সেই শিক্ষা মানুষে মানুষে আন্তঃসম্পর্ক, সহিষ্ণুতা ও শুভবুদ্ধির সঞ্চার ঘটাতে পারে । তখন রাজনৈতিক পরিবেশ সুন্দর হয়ে। ன் জিডিপি বাড়লেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে সে কথা বলা যায় না । বড় অঙ্কের জিডিপির ভেতরেও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বঞ্চনা লুকিয়ে থাকতে পারে। বহুরৈখিক ব্যাখ্যা ও উপলব্ধির স্থান তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার রাজনৈতিক অর্থনীতিকে আলোচনায় রাখতে হবে। চোখ বাঁধা দশাকে সঙ্গী করে আমরা হাঁটব না। একটি আলো ঝলমল পথেই আমরা গন্তব্যে পৌঁছাব ।