এই সংকলনে গ্রন্থিত লেখাগুলো উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত। ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা' শীর্ষক একটি রচনা প্রতিযোগিতা আহ্বান করে করোনার শুরুর আগেই এই লেখাগুলো সহ প্রায় সাত শ রচনা আমাদের হাতে আসে। বিষয় বস্তুর আকর্ষণে হোক কিংবা পুরস্কারের ভারিক্কীর কারণে হোক কিংবা উভয় কারণে এত বেশী সংখ্যক প্রতিযোগির সাক্ষাৎ মিলেছিল। দেশের প্রথিত যশা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এই আয়োজনের উদ্যোক্তা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাংলা ও ইংরেজীতে প্রণীত লেখাগুলো প্রাপ্তির পর এক ঝাঁক মূল্যায়ক কর্তৃক ২৩৫ টি প্রবন্ধ প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়। সেগুলোকে বারংবার চাকুনী ফেলে ১৫ জনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ভাগ্যক্রমে করোনা মহামারীর শুরুর আগেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটিও সমাপ্ত করা গিয়েছিল। ঐ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও শাইখ সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ঘোষণা ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে নির্বাচিত কিছু প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হবে। বিবিধ কারণে এই প্রক্রিয়া সময়মত সমাপ্ত করা যায়নি। করোনা কালের আর্থিক সংকট বিবেচনায় রেখে একুনে ত্রিশটি লেখা ছাপানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গ্রহণ করে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল যে সংকলনটির শিরোনাম হবে 'বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা'। সংকলক প্রবন্ধগুলো কয়েকবার পাঠ করে সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রন্থটির শিরোনাম বরং 'শিশু কিশোরদের চোখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' হওয়াই উচিত। কেননা, প্রতিটি প্রবন্ধ লেখক বা লেখিকা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে বঙ্গবন্ধুকে শুধু বাঙালির জাতির পিতা নন, বরং আরও বহুবিধ নামে চিহ্নিতকরণে তার