আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি আজমাইন। রাসুলুল্লাহ্ এর কাছ থেকে সরাসরি তাবাররুক গ্রহণ সাহাবিগণের মধ্যে বহুলভাবে প্রচলিত একটি আমল। তাঁর একটুখানি পরশের জন্য, তাঁর চুল, নখ, দাঁড়ি, ঘাম, পরিধেয় বস্ত্র, ব্যবহৃত দ্রব্যাদি থেকে তাবাররুক গ্রহণের জন্য তাঁরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতেন। এগুলো ছিল তাঁদের অনুপম মাহাব্বা এবং তাজীমের প্রকাশ। আরবের বিখ্যাত কূটনৈতিক সুহায়ল ইবন আমর রাসুলুল্লাহ ও এর প্রতি সাহাবিদের অপরিসীম ভক্তি-শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে তাবাররুক গ্রহণের কথা তুলে ধরেছিলেন। এ গ্রন্থটি লেখকের প্রকাশিতব্য আল খুতবাতুল হানাফিয়্যাহ'র অন্তর্ভুক্ত তাবাররুকাত সম্পর্কে লিখিত ‘আত তাবাররুকাতুল মুহাম্মাদিয়্যাহ ফিস সুন্নাতিস সাহিহাহ' শীৰ্ষক ছয়টি খুতবার বঙ্গানুবাদ। ফিতনাগ্রস্থ অনেকেই বর্তমানে হাজার বছর ধরে ইসলামে স্বীকৃত অনেক বিষয়কে অস্বীকার করছে। তাবাররুক তেমনি মাজলুম একটি বিষয়। রাসুলুল্লাহ * এর রওজা শরিফের দিকে ফিরে দুআ করতেও বাঁধা দেয়া হয়। কেউ যদি মনের তীব্র ঈমানী আবেগে তাঁর রওজা শরিফের দেয়ালের পরশ নেয়ার চেষ্টা করে, তাদের সাথে কঠোর আচরণ করা হয়। তাবাররুককে এখন ইসলামী সমাজে এক ধরনের ট্যাবু বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এ গ্রন্থটিতে সহিহ হাদিস দিয়ে তাবাররুকাতে মুহাম্মাদিকে সাব্যস্ত করা হয়েছে। হাদিসগুলো অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রায় সর্বত্র ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ রীতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাঠকবৃন্দ গ্রন্থটি পাঠ করে উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।