‘রৌজা’ কাব্যগ্রন্থের গীতি কবিতাগুলো মরমী কবি আযাহা সুলতানের এক অনবদ্য সৃষ্টি। ছন্দে ও ভাবের দ্যোতনায় কবিতাগুলো পাঠককে অসমান্য ভাবের জগতে নিয়ে যেতে সক্ষম । স্রষ্টার প্রতি মানুষের চিরন্তন নিবেদন, আত্মসমর্পণের আকুল প্রার্থনা কবিতাগুলোর পরতে পরতে প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। শুরুতেই কবি বলেন ‘সুবাহানাল্লাহ্ ওয়ালহামদুলিল্লাহ্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ রাব্বানা রাব্বানা ডাকায়ও অসংখ্য ভুল-চাই গো ক্ষমা কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। একমাত্র প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যতিক্রম। মরমী কবি আযাহা সুলতান স্রষ্টার শক্তি ও সামর্থের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে অন্তরের আকুতি প্রকাশ করেছেন এভাবে ‘চাইলে ভিক্ষাপাত্রে দেওয়ার পারে বাদশাহী দান ইচ্ছে করলে ফেরেশতাকে বানাতে পারে শয়তান আমার রব কতযে মহান!’ মানুষ যাকে ভালোবাসে, তার নাম উচ্চারণে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করা যায়। ঈশ্বরপ্রেমিক কবি আযাহা সুলতান এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায় আল্লাহর কাছে আত্মনিবেদন করেছেন, নত হয়েছেন স্রষ্টার সৃষ্টি জগতের প্রতি, নিজের ভুলের কথা, গুনাহর কথা অকপটে স্বীকার করে বলেছেন- ‘আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু সুর হৃদয়ে লাগে কী যে মধুর এ নামের টানে বাইর হোক প্রাণ’ শেষযাত্রায় তিনি প্রিয় নাম আল্লাহ জপতে জপতে স্রষ্টার দিদার লাভ করতে চান। এই চাওয়া শুধু কবির একার নয়, যারা এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করবেন তাদেরও।