ভূমিকা : এই প্রটোকলের ইংরেজি অনুবাদকারী ভিক্টর মার্সডেন স্বয়ং ছিলেন রুশ বিপ্লবের একজন ভুক্তভোগী । তিনি বহু বছর যাবৎ রাশিয়ায় বসবাস করেন এবং একজন রাশিয়ান মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। তাঁর অন্যান্য কাজের মধ্যে উল্লেখ্য এই যে তিনি মর্নিংপোস্ট পত্রিকার রাশিয়ান সংবাদ পরিবেশক হিসেবে বিপ্লবকালীন রাশিয়ার বাস্তব খবরাদি নিপুণতার সঙ্গে পরিবেশন করেন। এতে স্বভাবতই তিনি বিপ্লবী সরকারের বিরাগভাজন হন। একদিন 'ক্যাপ্টেন ক্রোমি' নামের একজন রাশিয়ান অফিসার ইহুদিদের হাতে খুন হলে ভিক্টর মার্সডেনকেও বন্দি করে পিটারপল জেলে অন্তরীণ করা হয়, সেখানে তিনি যেকোনো সময়ে নিহত হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটান। পরে তিনি এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে, ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে কোনোমতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং তাঁর স্ত্রী ও অন্য বন্ধু-বান্ধবদের সেবা-শুশ্রূষায় ভালো হয়ে ওঠেন। সুস্থ হয়ে উঠে প্রথমেই তিনি এই প্রটোকলের ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন। জনাব মার্সডেন প্রকৃতপক্ষেই এই অনুবাদের জন্য যথেষ্ট যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক, রাশিয়ান জীবন সম্পর্কে ও ভাষায় তাঁর জ্ঞান এবং একজন সাংবাদিক হিসেবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা-এ সবই ছিল তাঁর জন্য বিশেষ সহায়ক। যে কারণে আমরা এই প্রটোকলের একটি সুন্দর পাঠযোগ্য অনুবাদ লাভ করেছি। আদতে এটি কিছুটা অসংলগ্ন ও ছাড়া ছাড়াভাবে থাকা সত্ত্বেও জনাব মার্সডেনের সুন্দর লেখনীর বদৌলতে নিম্নে বর্ণিত চব্বিশটি প্রটোকল একটি অনন্য সুন্দর ভাব প্রকাশের সহায়ক হিসেবে দেখা গেছে। বলা যেতে পারে যে, এই লেখা বাস্তবিকভাবেই জনাব মার্সডেনের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে পাওয়া।