‘লজ্জা ও ঈমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি একটি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অপরটিও হারিয়ে যায়।’ — রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
. এ এমন এক লজ্জা, যা শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি নয়, ঘরের চার দেওয়ালে বসে থাকলেও অন্তরে কাজ করে। এই লজ্জা নারী-পুরুষ সবার জন্য। রবের প্রতি, ফেরেশতাদের প্রতি, নিজের প্রতি, মানুষদের প্রতি লজ্জা। লজ্জার এই শাখাগুলো ব্যক্তিকে শুধু নির্লজ্জতা থেকেই দূরে রাখে না, বানায় খাঁটি মুমিন, মুত্তাকী বান্দা। অলসতা ঝেড়ে ফেলে ব্যক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে নেককার, সালেহ হতে। বেখেয়ালি, লক্ষ্যহীন জীবনকে করে আখিরাত-মুখী। স্রোতে ভেসে যাওয়া চরিত্রকে আনে নিষ্কলুষ জমিনে। শক্ত হৃদয়ে জাগায় পবিত্র স্পন্দন।
. ইসলামে লজ্জা বলতে কী বোঝায়, লজ্জার ধরণ-প্রকারগুলো কী কী, কোন কোন ক্ষেত্রে লজ্জা প্রশংসনীয় এবং কোন ক্ষেত্রে নিন্দনীয়, আমাদের পূর্বসূরিগণ কেমন লজ্জার চর্চা করতেন, কীভাবে হারানো লজ্জা পুনরায় অর্জন করা যায়—মোট কথা লজ্জার নান্দনিক দিক আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। বেহায়াপনায় তলিয়ে যাওয়া জাতিকে উদ্ধার করতে এবং একটি পবিত্র জাতি বিনির্মাণে বইটি অকৃত্রিম ভূমিকা রাখবে ইনশা আল্লাহ।