নামাজ। ইবাদত করার সবচেয়ে সুন্দর তরিকা। এটা এমন এক আমল, যা সীমাহীন প্রশান্তি আনয়ন করে, আত্মার পিপাসা নিবারণ করে। আপনার দেহ থাকবে জমিনে, কিন্তু আত্মা আল্লাহ পাকের আরশের নিচে ঘুরবে। নামাজ হলো আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে মহান তোহফা। যাতে ওই শান্তি ও আনন্দ রয়েছে, যা আমরা সকলে তালাশ করি। এ জীবন পরীক্ষা, কষ্ট ও পেরেশানির বোঝায় নিপতিত। উক্ত বোঝা থেকে আমাদের মুক্তির প্রয়োজন, এসব বস্তু হতে আমাদের মুক্তি পেতে হবে, আর কে আমাদেরকে উক্ত বিষয় হতে মুক্তি দিতে পারে? আল্লাহ ছাড়া আর কেউ পারে না। আর উক্ত প্রশান্তি আমাদের নামাজে মিলবে।
আপনার হয়ত জানা আছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো বিষয়ে পেরেশান হতেন আর নামাজের সময় হতো তখন তিনি বলতেন, হে বেলাল! আমাকে (নামাজের মাধ্যমে) শান্তি দাও।
এ সুখ ও প্রশান্তি কেবল পূর্ববর্তীদের জন্যই নয় বরং আমরাও তা লাভ করতে পারি। আর যারা উক্ত রহস্য জানেন, যা আমাদের পূর্বপুরুষগণ করতেন যে, এ আরাম ও প্রশান্তি উন্নতমানের তাওয়াজ্জুহ বা মনোনিবেশ দ্বারাই হাসেল হয় না; বরং তার জন্য রূহানি স্তরে পৌঁছতে হবে। অন্তরের মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি এর দ্বারা ইতিবাচক ফলাফল হাসেল করতে চান, তাহলে আপনার অন্তর তার সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে। আপনার শুধু ১০ মিনিট (নামাজ পড়াকালীন) আল্লাহ পাকের মহব্বতের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। দুনিয়ার কাজ-কর্মের জন্য ২৩ ঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় রয়েছে। এ ১০ মিনিট আল্লাহ ও তাঁর সাক্ষাত লাভের প্রশান্তিতে নির্দিষ্ট করে নিন।