যদিও ফুটবলের চেয়ে কম দেশ ক্রিকেট খেলছে তবুও বর্তমান সময়ে ক্রিকেট নি:সন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন না বা দেখেন না এমন মানুষের সংখ্যা আজ বিরল। কেউ মাঠে গিয়ে, কেউবা ঘরে বসে টিভির সামনে ক্রিকেটের স্বাদ নেন। অফিসে, ড্রয়িং রুমে, ক্লাবে, এমন কী দোকানে বা চায়ের দোকানে পর্যন্ত টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখার দৃশ্য আজ চিরচেনা। যে যেখানেই দেখুন বা খেলুন সবার খেলাটিকে সবার ভালো করে জানা ও বোঝা দরকার। খেলা সম্পর্কে পুরোটা জানা না থাকলে বা সবটুকু না বুঝলে সে খেলা খেলে বা খেলা দেখে পুরোটা আনন্দ পাওয়া যায় না। ক্রিকেটার, আম্পায়ার, স্কোরার, ক্রীড়া-সাংবাদিক, দর্শক, পাঠক সাধারণ মানুষ সবার ক্রিকেটের আইন কানুন জানা খুবই অপরিহার্য। তাতে করে আর কিছু না হোক অনেক অহেতুক বিতর্ক এড়ানো যায়। যারা অল্প-সল্প ক্রিকেট জানেন বা একেবারেই জানেন না অথবা যারা অনেক জানেন, মনে করেন সবটা জানেন এবং সাথে বাড়তি আরো কিছু জানতে চান; এ বই তাদের সবার জন্যে। বইটিতে ক্রিকেটের জন্ম ও বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলার আইন-কানুনসহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা ক্রিকেট জানা বা না জানা সবার প্রয়োজনে আসবে। আছে ক্রিকেটের আইন সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তর। বইটি সব বয়সের পাঠকের ভালো লাগবে এবং উপকারে আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর সবার ভালো লাগলে লেখক ও প্রকাশকের শ্রম সার্থক হবে। দুলাল মাহমুদ সম্পাদক, পাক্ষিক ক্রীড়াজগত সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি
দুই বাংলার পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। লেখেন উপন্যাস, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, কবিতা ও খেলার বই।। অনুবাদ ও সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা। অনুবাদ ও। সম্পাদনা করেছেন পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের কবিতা ।। বলা যায়, সাহিত্যের সব শাখায় তার রয়েছে অবাধ। বিচরণ। লিখছেন আড়াই দশক ধরে। বাংলাদেশ ও। ভারতে প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে। দু’শতাধিক। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু। ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলায় একসাথে ৬ খানা বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি। প্রথম লেখক হিসেবে বাংলা একাডেমি বইমেলায় ‘একক বইয়ের স্টল’ করেন। যা তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ বছরই তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় “বাংলাদেশ লেখক। পরিষদ”। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন। ক্রীড়ালেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে অমরেশ বসু কলেজ সাহিত্য সম্মাননা, ২০১৪ সালে কলকাতার (পশ্চিম বাংলা, ভারতের) ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ও একই বছর। ক্রীড়ালেখক সমিতি আয়ােজিত ইন্টারন্যাশনাল স্পাের্টস প্রেস-ডে (এআইপিএস-ডে) সম্মাননায় ভূষিত হন। । ১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার পুখরিয়া। (আলােকদিয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্ম ।। পিতা মরহুম সৈয়দ হাসান আলী, মা মরহুমা সৈয়দা। আয়েশা হাসান। ৯ ভাইবােনের সবার ছােট। ১৯৯৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন। লাভলী এবং দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিকে। নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতায় লেখকের। সুখের সংসার।