- জনরা হিসেব করলে বইটা ছোটগল্পের। - তা তো বুঝলাম, কিন্তু বিশেষত্ব কী? - একটা নির্দিষ্ট থিমে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন এ্যাঙ্গেল থেকে থিমটাকে দেখতে চাওয়া হয়েছে। - বলতে চাইছ, এমন থিমে কোন বই লেখা হয়নি? কিংবা গল্পগুলো? - গল্প তো লেখা হয়েছেই কিন্তু আস্ত একটা বই হয়নি বোধহয়। আর হলেই’বা কী, প্রত্যেকের দেখার চোখ আলাদা। এই বইতে আমার চোখ দিয়ে ভালোবাসার রকমফের দেখতে পারবে। আমার থট প্রসেস জানতে পারবে। - তামার থট প্রসেস না হয় আমার জন্য জরুরি, কিন্তু আরও মানুষেরা কেন তোমার থট প্রসেস জানতে ঝাঁপিয়ে পড়বে? - কারণ গল্পগুলো মানুষের, এক মানুষের সাথে অন্য মানুষের সম্পর্কের। সবাই নিজেকেই খুঁজে পাবে। দুদণ্ড থমকাবে, চমকাবে, ভাববে। এই বইয়ের গল্পগুলো আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই যে লুকায়িত কিংবা প্রকাশিত অনন্ত আক্ষেপ, সেগুলোকে আরও উসকে দেবে। এমপ্যাথি তৈরি করবে। - কিন্তু আমাকে এখন বলো, এই বইটা না লেখা হলে আদৌ কোন শূন্যতা তৈরি হত? কিংবা যদি উল্টো করে বলি, তোমার এই ছোটগল্পের বইটা ইতিহাসের ঠিক কোন জায়গায় ফিট করে নেবে? - মহাকালের একটা অংশ তো আমিও। এই বইটা, এই গল্পগুলো না লিখলে আমার ভেতর যে আক্ষেপ সৃষ্টি হত সেটা মেটাতেই এর জন্ম। তাই সে অর্থে তো অবশ্যই এর দরকার আছে। তাছাড়া আমার থট প্রসেস, স্টোরি টেলিং ছড়িয়ে দিয়ে আমার ঘরানার কিছু নতুন মানুষও- হোক সে অল্প, আমার সাথে সংযুক্ত হয়, সেটা তো আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, তাই না? আর ইতিহাসে ফিট করে নেয়ার ব্যাপারে একটুখানি বলি, পৃথিবীর ইতিহাসেই খুব অপ্রতুল সংখ্যক লেখক জীবদ্দশায় তাদের লেখালেখিকে কোথাও ‘ফিট’ করে নিতে দেখে যেতে পেরেছে। তাই এই বিষয়টা আমি সময় পরিভ্রমণের হাতেই ছেড়ে দিতে চাই। শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমার ভীষণ প্রিয় এই গল্পগুলো নিজেরাই ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিল, তাই আমিও আর বাধ দিতে চাইনি, ঠেকিয়ে রাখিনি।