২০০০ সালে যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার শিক্ষক বা সম্পর্কে চাচা বলতে পারি তিনি কবিতা লিখতেন আর আমি তার কবিতা পড়ে অনেক উৎসাহ পেতাম। একদিন একটা কবিতা লিখে ফেলি আর তাকে দেখাই, তিনি দেখে হেসে দিলেন আর বললেন, তুমি পারবে। তারপর থেকে লিখতে খুব ভালো লাগত- ইচ্ছা হলেই লিখতে বসতাম। আসলে কোনো উদ্দেশ্য বা কবি হওয়ার জন্য লিখিনি- লেখার মাধ্যমে প্রথমত নিজের খুশি ও মনের কথাগুলো প্রকাশ করতে চেয়েছি। তবে খুব কম বয়সেই আমি বুঝেছিলাম, কবিতা লেখাই আমার মনের কথা। সব মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে- সে কি হবে, কী করবে, তা নির্ভর করে সেই প্রবণতার ওপর । আবার সব সময় সবাই তাদের নিজস্ব প্রবণতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারে এমন নয়। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক সময় অনেক কাজ করতে হয় জীবন ধারণের জন্য। আমার প্রবণতাটা আমি ধরতে পেরেছিলাম । তবে কবিতা লিখে আমাদের মন ভরলেও পেট ভরে না। তাই সারাজীবন আজেবাজে কাজে সময় নষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করার সময় প্রেমেও পড়েছিলাম এক সুন্দরী বালিকার। তখন থেকেই কবি হওয়ার স্বপ্নটা আরো বেশি দেখতে থাকি। আমার কবিতায় আমি মূলত প্রিয় মানুষ হারানোর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে চেয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার একজন অনেক প্রিয় এবং ভালোবাসার ব্যক্তিত্ব। আমার মা, বাবা, চাচা, চাচী, বোন, স্ত্রী- সন্তান তথাপি সকল আত্মীয় স্বজনও আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা ছাড়া আজকের এ অবস্থানে হয়তো আসতে পারতাম না। প্রিয় মানুষগুলোর ভালোবাসা যদি কেই কখনো হারায় তখন তাদের অনুভূতি কি হয় তা আমার কবিতা দিয়ে আমি কিছুটা প্রকাশ করতে চেয়েছি। আবার পরবর্তী সময়ে আমার চিন্তায়ও পরিবর্তন এসেছে যে সব কিছু নিয়েই আমাদের জীবন আমরা আমাদের মনের কথা কবিতা, গানে, গল্পে, ছড়ায় প্রকাশ করি। সেই ধারাবাহিকতায় আমার এই কাব্যগ্রন্থ রচনা। যাদের সহযোগিতা, উৎসাহ ও একান্ত প্রচেষ্টায় কাব্যগ্রন্থটি রচিত রয়েছে তাদেরকে জানাই কৃজ্ঞতা ও ভালোবাসা। তাই আমার এই সামান্য প্রয়াস সবার কাছে ভুলের বাটখারায় ওজন কম হোক সেটাই প্রত্যাশা ।