'বহে নবগঙ্গা' বই'র রচয়িতা চার কবি। কবি আতিয়ার রহমান, কবি প্রবক্তা সাধু, কবি দুখু হুমায়ুন এবং কবি সৌরভ দুর্জয়। তাঁরা সকলেই নড়াইলের সন্তান। নড়াইলের আলো, বাতাস, কাদা, পানিতে বেড়ে উঠেছেন। নবগঙ্গা নদীতে সাঁতার কেটেছেন। মাছ ধরেছেন। পাড়ে বসে অলস সময় ব্যয় করেছেন। ঘুড়ি উড়িয়েছেন। নৌকার যাত্রী হয়ে বহুবার এপার ওপার পার হয়েছেন। কখনো কখনো তাঁরা মাঝিও সেজেছেন। মিশে গেছেন নদীর সাথে। যেমন মিশে যায় মায়ের সাথে তাঁর সন্তান। তারক সরকার, বিজয় সরকার, মোসলেম উদ্দীন, আবদুল লতিফ সরকার, গোলাম কিবরিয়া, নিহার রঞ্জন গুপ্ত, যদুনাথ মজুমদার এর অনুসারী এঁরা। কবিগণ একে অপরের আপনজন । কাছের মানুষ। রুটি রুজির তাগিদে এখন একে অপরের থেকে দূরে থাকলেও লেখালেখির কারণে সবাই যেন একই বৃন্তের চারটি ফুল। সবার একই ঘ্রাণ। একই রূপ। কবি সৌরভ দুর্জয় ও কবি প্রবক্তা সাধু নড়াইলের শিল্প সাহিত্যের উন্নয়ন কল্পে সময়ে অসময়ে আলোচনা করেন। পরিকল্পনা করেন। তাঁরা গঠন করেছেন ‘লোহাগড়া লেখক পরিষদ'। কবি দুখু হুমায়ুন নড়াইল থেকে ত্রৈমাসিক সাহিত্য প্রত্যাশা পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করে নড়াইলের কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। তাঁকে এ কাজে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে সহযোগিতা করছেন কবি সৌরভ দুর্জয়। কবি আতিয়ার রহমান নড়াইলের কবি সাহিত্যিকদের একত্রিত করার এক মহাযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কবি সৌরভ দুর্জয় ও কবি প্রবক্তা সাধু'র পরিকল্পনায়, লোহাগড়া লেখক পরিষদ এর সম্পাদনায় এবং কবি আতিয়ার রহমান ও সাহিত্য প্রতাশা পত্রিকার প্রেরণায় প্রকাশিত হলো যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'বহে নবগঙ্গা'। বইটির নাম করণের দাবিদার কবি প্রবক্তা সাধু। কবি দুখু হুমায়ুন এর আমার গ্রাম, প্রিয় বাংলাদেশ, আশার বাক্স শূন্য, মৃত্যুর কোলে নবগঙ্গা, শৈশব স্মৃতি, আগেই ভালো ছিলো, এই ছয়টি কবিতা সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেছেন কবি সৌরভ দুর্জয়। চেষ্টা থাকা সত্বেও ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে দাবী রাখি। ছন্দ, রসে ভরপুর বইটি পাঠক মহলে সমাদৃত হলে কবিদের শ্রম সার্থক হবে। অনন্য প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কবি পলক রায় কে ধন্যবাদ বইটি প্রকাশে তাঁর অক্লান্ত শ্রম ও মেধা দিয়ে নড়াইলের চার কবিকে মলাট বদ্ধ করার জন্য ।