বিজ্ঞানীরা বলেন, সব রকম শক্তিরই মূল উৎস হচ্ছে সূর্য। সূর্য ছাড়া শক্তির আরও নানা উৎস রয়েছে। সব রকম উৎস সম্পর্কে জানা আমাদের সকলের জন্য জরুরি। তাপ, আলো, শব্দ, বিদ্যুৎ প্রভৃতি নানা ধরনের শক্তি নিয়ে যে বিজ্ঞানের গবেষণা তার নাম-তাপ-বিজ্ঞান, আলোক-বিজ্ঞান, শব্দ-বিজ্ঞান, তড়িৎ-বিজ্ঞান এবং এ সবগুলোর সমন্বয়েই হয়েছে শক্তি বিজ্ঞান । এই বইখানি লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শক্তি বিজ্ঞানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। যাতে তারা শক্তি বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। শক্তি প্রধানত দুরকম~ কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি ও পোটেনশিয়াল এনার্জি বা স্থিতিশক্তি। আমরা শক্তি দিয়ে যা-ই করি না কেন শক্তি সর্বদা শক্তিই থেকে যায়~তার বিলুপ্তিও নেই, সৃষ্টিও নেই। তা কেবল রূপ পরিবর্তন করে। শক্তির এ বৈশিষ্ট্যই শক্তির অবিনাশীতাবাদ নামে পরিচিত। শক্তি হয় পাঁচ ধরনের রাসায়নিক শক্তি, তাপ শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি, বৈদ্যুতিক শক্তি ও পারমাণবিক শক্তি আজ বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে। মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরছে- অ্যাটম বোমার ধ্বংসলীলার কথা শুনে আমরা আজ শিউরে উঠছি। গভীর সাগর তলের কত অজানা রহস্য আমরা জেনে ফেলেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের আদিম যুগে এ রকমটি ছিল না। প্রকৃতির নানা ঘটনা দেখে সেকালের লোকেরা তাই অবাক হয়ে যেত, আর অদৃশ্য দেবতার কাজ ভেবে তাঁকে তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। আজ আর বজ্র-বিদ্যুৎ দেখে মানুষ ভয় পেয়ে ইন্দ্রদেবের পূজা করে না, অনাবৃষ্টি হলে বরুণদেবের তুষ্টির ব্যবস্থা করে না। মহামারী লাগলে দেবতার পূজা না করে আগে ডাক্তারের বাড়ি ছোটে। বহু শত বছরের অভিজ্ঞতায়~অক্লান্ত সাধনায় বিজ্ঞান আজ তার বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে আজ দুটি প্রশ্ন; ধ্বংসের কাজে বিজ্ঞান ব্যবহার করব~ না মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ানো তথা শান্তি ও কল্যাণের কাজে লাগানো হবে বিজ্ঞানকে? বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য ধ্বংস নয়~ শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা। একদল স্বার্থপর মানুষের হাতে পড়ে বিজ্ঞান কখনও কখনও ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে, কিন্তু সে তো বিজ্ঞানের দোষ নয়। পৃথিবীকে সুন্দর করে, মানুষকে অভাব- অনটন থেকে মুক্ত করে অমৃতের সন্ধান দিতে পারলে তবেই সার্থক হবে আমাদের বিজ্ঞান সাধনা। সকলের প্রতি সে প্রত্যাশাই রইল ।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।