সকল প্রশংসার একমাত্র হকদার মহান আল্লাহ তায়ালা যিনি তাঁর প্রিয় হাবীব (দ.) কে সমস্ত জগতের জন্য রাহমাতুল্লিল আলামীন হিসাবে প্রেরণ করেছেন। যার সেই রহমতের করুনার অপার মহিমায় পাঠক সমাজের নিকট “ ইসলামী জ্ঞান ভান্ডার” পুস্তিকাটি উপস্থাপন করা সম্ভবপর হয়েছে। ইসলাম হচ্ছে মহান আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম বা জীবন বিধান। আর ঐশী গ্রন্থ আল কুরআন হচ্ছে মানবজাতির হেদায়াতের অন্যতম উৎস এবং সকল জ্ঞান বিজ্ঞানের আধার। ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে প্রতিটি নর নারীর জন্য ফরজ করা হয়েছে। তাই ইসলামের মৌলিক বিষয়াদির উপর সম্যক জ্ঞান থাকা প্রতিটি মুসলমানের একান্ত অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে আমরা এমন এক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছি যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নিজেদের কৃষ্টি কালচার চর্চায় অনেক দৃঢ় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা হলেও তা অনেক সীমিত আকারে এগুচ্ছে। তদুপরি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে উপেক্ষিত। তাই আমরা আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান চর্চায় অনেক দূর পিছিয়ে পড়েছি। এজন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা। আমাদের মধ্যে অনেককে ভাষাগত পার্থক্য,ইসলামী সুবিশাল গ্রন্থ সমূহ পাঠ করে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানা সম্ভবপর হয় না। সে দিকটি বিবেচনা করেই “ইসলামী জ্ঞান ভান্ডার ” (সংযোজিত) নামক পুস্তিকাটি সংকলন ও সম্পাদনায় মনোনিবেশ করি। যাতে করে ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন জানা-অজানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংক্ষিপ্তাকারে পাঠকের সুবিধার্থে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামে বিভিন্ন ঘটনা ও ঐতিহাসিক বিষয়াদির ক্ষেত্রে মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়। সন,তারিখের ক্ষেত্রেও মতভেদ পাওয়া যায় । তাই এসমস্ত বিষয়ে অধিকতর প্রাপ্ত ও গ্রহণযোগ্য মতটিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে । এছাড়া এতে মাঝে মাঝে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে আর অনেক ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি। তাই বলে কোন অবাঞ্চিত কিংবা কোন অসামন্জস্য বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষত যে সমস্ত বিষয় খুব বেশি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সে গুলোর তথ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী জ্ঞান ভান্ডার নামক বইটি গত ২০০৩ সালে ১১ডিসেম্বর অতি সংক্ষিপ্তাকারে ১ম সংস্করণ সম্পাদনা করি। কিন্তু বর্তমানে উক্ত বইটি সংশোধন ও সংযোজন করে নতুন আঙ্গিকে সংস্করণ করা হয়েছে। বইটি বহুল প্রচারের স্বার্থে জাগরণ প্রকাশনী,চট্টগ্রাম এর পরিচালক শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকাশের এখতিয়ার দেয়া হয়। আশা করি নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ হওয়া বইটি সর্বজন সমাদৃত হবে। এতে কোন প্রকার ভুল ভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে পাঠক মহল তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার ও সুপরামর্শ প্রদানের অনুরোধ রইল। আর প্রকাশনা কাজে যারা আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে রাসুলে পাক (দ.) ও আউলিয়ায়ে কেরাম প্রদর্শিত পথ ও মতের উপর চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।