প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট, ছড়াকার, আবৃত্তিকার, সংবাদ পাঠক ও সংগঠক সদ্য প্রয়াত শেখ তোফাজ্জল হোসেন, প্রিয় তোফা ভাই বলেছিলেন- ‘তোমার গদ্যের হাত ভাল, পদ্য বাদ দিয়ে গদ্য রচনায় মন দাও' । সময়টা ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ । মূলত তাঁরই প্রেরণায় গদ্য চর্চায় উৎসাহী হয়ে উঠেছিলাম । তবে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ খুব একটা ভাল নয়, তাই খুব বেশী গদ্য চর্চা হয়ে ওঠেনি- বিশেষত ছোট গল্প লেখার বহমানতা বেশী দূর এগোয়নি । পেশাগত কারণে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখতে হয়েছে অনেক, সেই সাথে গল্প লেখার চর্চা করার চেষ্টা করেছি মাত্র । সংখ্যার দিক থেকে খুব তা বেশী নয় । গদ্য লিখতে হলে যতটা মনোযোগী হতে হয়, তা হয়তো আর কখনোই আমি অর্জন করতে পারবো না। বিগত শতকের সাতের দশকে প্রথম একটা ছোট্ট গল্প লিখেছিলাম, সেটি আর সংগ্রহে নেই, এমনকি ১৯৯৪ সালে আমার প্রথম প্রকাশিত ‘বর্ষণের গাঁথা মালা' গল্পের বইটি আমার সংগ্রহে নেই, এমনকি কোন সুহৃদের কাছেও খুঁজে পাইনি । ছোট গল্প লেখায় চমক থাকতে হয়, তেমন চমক দেয়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই, তাই হয়তো আমার কোন সুহৃদ আমার লেখা বইগুলো সংরক্ষণ করেননি । দুঃখবোধ হলেও দুঃখিত হওয়ার কোন কারণ নেই বা থাকতেও পারে না । তাই সেই বইয়ের গল্পগুলো এই বইয়ে সংকলিত করা গেল না । নানান কারণে আমার লেখা অনেক গল্প আমার হাতে নেই, ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছি না । তাই হাতের কাছে যেগুলো পেয়েছি, কুড়িয়ে নিয়ে সেগুলোই সংকলিত করে ‘গল্প সংগ্রহ' প্রকাশের উদ্যোগ নিলাম ।
বর্তমান পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠীতে জন্ম ষাটের দশকে। বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাদে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে লেখাপড়া। এখনো ভ্রমণে উৎসুক। সত্তর দশকের শেষ ভাগে লেখালেখি শুরু। নব্বই দশকের প্রথম ভাগে বই প্রকাশ। প্রধানত গদ্য সাহিত্যে বিচরণ। শিশুতোষ লেখায় পারঙ্গম। নব্বইয়ের দশকে স্কাউটিং নিয়ে জাতীয় দৈনিকে ব্যাপক লেখালেখি। ঐ সময়েই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লেখার প্রচেষ্টা। প্রকশিত গ্রন্থ ১৪। প্রবন্ধের বই এটিই প্রথম। 'প্রেসিডেন্ট স্কাউট হতে হলে' শিরোনামের একটি বই বাংলাদেশ স্কাউটস নিষিদ্ধ করেছিল। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস এর লিডার ট্রেনার, বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক সম্পাদনা করছেন প্রায় দেড় যুগ ধরে।