লিডিয়া ইমেল্ডা গমেজ ছোটবেলা থেকেই লেখেন। কবিতা লেখেন। সাপ্তাহিক 'প্রতিবেশী ' পত্রিকায় সেইসব কবিতা ছাপা হতো। এক সময় তিনি জীবনের মোহন আহবানে সাড়া দিয়ে নতুন দেশে বসত গড়েন। দেশ ছেড়ে পরবাসী হয়েও দেশকে, দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে লালন করেন মনের মাঝে। সাহিত্যের আকর্ষণ তাকে ছাড়ে না। তার কবিতার বই বের হয় গত বছর 'সহজ কথার সৌরভ ' নামে। এর ফলে কবি হিসেবে খ্রিস্টীয় সমাজে তিনি নন্দিত হন। কবি লিডিয়া ইমেল্ডা গমেজ এবার কাহিনি লিখেছেন। এই কাহিনি গল্প, উপন্যাস নাকি আত্নকথা, এইসব প্রকরণ নিয়ে পণ্ডিতেরা মাথা ঘামাবেন। এটি আমার কাজ নয়! পাঠক হিসেবে আমি দেখেছি লেখকের সংগ্রামের গল্প দিয়ে তৈরি হয়েছে তার 'জীবনযুদ্ধ'। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে প্রকৃতির প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠা এক নারী একপর্যায়ে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছেন অদম্য মনোবল নিয়ে। এই যুদ্ধ এক নারীর যুদ্ধ, জীবনের জন্য যুদ্ধ, জীবন জয়ের যুদ্ধ। পাঠকমাত্রই একে নিজের জীবনযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। সাহিত্য আঙ্গিকের বিশ্লেষণে যাব না, ভাষার লালিত্য বিচারের সময় এটি নয়, এক সাহসী নারীর জীবনযুদ্ধে নিজের সমর্থন জানাতে পারলেই পাঠক জয়ী হবেন। এই জীবনযুদ্ধ আমিও লেখকের পাশে আছি আপনিও থাকুন সাহিত্যিক লিডিয়া ইমেল্ডা গমেজের জন্য প্রার্থনা রইল। তিনি নিরোগ থাকুন। কলম চালু রাখুন। খ্রিস্টীয় সমাজের গৌরব আরো বৃদ্ধি করুন। ঈশ্বর তার অবদানে বাংলাসাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হোক- এই শুভ কামনা ফাদার গৌরব জিং পাথাং সহকারী পরিচালক মরো সেমিবারী জিন্দাবাহার, ঢাকা