এই গ্রন্থের প্রতিটি লেখাই একটু অন্যরকম। গ্রন্থের শুরুটা করা হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন রচনা করার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে। এরপর বৈরিতার প্রসঙ্গ এসেছে; কিন্তু তার মাঝেও সেতুবন্ধের সুরই মুখ্য হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ একটি দৃষ্টিকোণ উপস্থাপিত হয়েছে নারী এবং পরিবেশের যোগসূত্র সম্পর্কে। সামগ্রিক প্রেক্ষিত থেকে চিন্তা করে বনভূমি, নদী, পলিথিন ও প্লাস্টিকজাতীয় পণ্য, বায়ুদূষণ এবং শব্দদূষণ নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিশ্লেষণধর্মী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধকে এই গ্রন্থে স্থান দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয়সমূহ আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রাণীবান্ধব সমাজ বিনির্মাণের গুরুত্বও একটি রচনায় খুব সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মোটরযান চালনা কি আসলেও একটি পেশা— পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের একটি প্রশ্ন উত্থাপনের মাধ্যমে পুরো যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়েই লেখক অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও বাস্তবসম্মত সমাধানেরও ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। গ্রন্থে নতুন আরেকটি মাত্রা যুক্ত করেছে স্বাস্থ্য নিয়ে লেখা। কারণ, স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশ এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গ্রন্থটির শেষদিকে সার্বিকভাবে পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান ও অনুরোধ যেমন জানানো হয়েছে, তেমনি পরিবেশ চিন্তায় কেন সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন— সেটাও সুস্পষ্ট করা হয়েছে। পরিবেশ নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে, বিশেষত তরুণ সমাজ, উন্নয়ন ও প্রশাসনসহ নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিত্বরা এই গ্রন্থটি থেকে চিন্তার খোরাক পাবেন।