রাতের আকাশে গোলাকার চাঁদের আলোতে চারপাশটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রোলস রয়েস সোয়েপটেলস গাড়ির সাইডে বেঁধে রাখা হয়েছে একজন যুবককে। যুবকটির বয়স আনুমানিক চব্বিশ কি পঁচিশ হবে। ছেলেটির চোখে বাঁচতে চাওয়ার আহ্বান। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটি। স্কটেপ মুখে লাগানোর কারণে মন খুলে চিৎকার দিতে পারছে না সে। চোখ দুটি দিয়ে প্রাণ ভিক্ষার আহ্বান জানাচ্ছে। দণ্ডপট্ট নামক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলেটির চোখের নিচ থেকে নাক বরাবর টান দেওয়ার সাথে সাথে তাজা লাল রক্ত ছিটকে বের হলো। কানের কাছে ধারালো চাকু দিয়ে তিন ভাগ করে ফেলল। ছেলেটির পুরো শরীর একবার ভালো করে দেখে ডান হাতের কাছে খুকরি নিয়ে মাঝের আঙ্গুলটি কেটে ফেলে পৈশাচিক আনন্দ হাসতে লাগলো শিকারী। বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল আর অনামিকা আঙ্গুল কেটে চোখের ভিতর ঢুকিয়ে দিলো। চোখ দুটি বেয়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ছেলেটি এই ভয়ানক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা গেলো। ছেলেটির মৃত্যুর পরেও শিকারীর শিকার করার ক্ষুধা মিটলো না। লাইসেন্স ছাড়া রিভলবিং পিস্তল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাঁচটি গুলি করে হাসি দিয়ে বলল, “তোদের মত আবর্জনার স্থান এইখানে নেই। তোদের স্থান নর্দমায়।”