রাজপথের সহযোদ্ধা গ্রন্থটি দুই খণ্ডে দুই বিভক্ত। প্রথম খণ্ড স্বদেশ পর্ব, দ্বিতীয় খণ্ড বিলেত পর্ব। বন্ধু মকিস মনসুরসহ আরো দুই/তিনজন প্রস্তাব করেছিলেন বিলেত পর্ব না করে প্রবাস পর্ব করতে। যেহেতু বইটিতে মূলত তাদের পরিচিতিই প্রকাশিত হচ্ছে যাদের অধিকাংশের সাথে একসঙ্গে কাজ করেছি। প্রবাসী সহযোদ্ধা, যাদের পরিচিতি প্রকাশিত হয়েছে (বিলেত ছাড়া) সবাই স্বদেশের সহযোদ্ধা। সুতরাং তারা স্বদেশ পর্বেই স্থান পেয়েছেন। স্বদেশে যাদের সাথে কাজ করিনি কিন্তু বিলেতে এসে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছি কিংবা করছি, তাদের পরিচিতি স্থান পেয়েছে বিলেত পর্বে। তবে বিলেতপ্রবাসী যাদের সাথে দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, সংগঠন করেছি, বিলেতে এসেও কাজ করছি, তাদের পরিচিতি স্থান পেয়েছে স্বদেশ পর্বে। স্বদেশ পর্ব কয়েকটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায় ১৯৭৫-৮৫, দ্বিতীয় অধ্যায় ’৮৬-৯৫, তৃতীয় অধ্যায় ’৯৬-২০০৫, চতুর্থ ২০০৬-২০। আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বইটিতে তথাকথিত প্রটোকল মেনে চলা সম্ভব হয়নি, তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে সিনিয়রিটি বজায় রাখতে, সেজন্য কেউ মনঃক্ষতুœ হলেও কিছু করার নেই। এক্ষেত্রে লেখকের স্বাধীনতাটি উপভোগ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। মনে রাখবেন, ইতিহাস একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাজপথের সহযোদ্ধা গ্রন্থটি একটি ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক ইতিহাস গ্রন্থ। আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার। বিশ্বাস রাখতে চেয়েছি তৃণমূলের কর্মীদের ওপর। আমি বিশ্বাস করি যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকার অর্থেই বুকে ধারণ করে, তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বইটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেনি। তবু যদি এ ধরনের কোনো তথ্য বিভ্রান্তি কারো চোখে পড়ে, দয়া করে আমাকে সঠিক তথ্য-প্রমাণাদিসহ জানালে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে। শুধু তা-ই নয়, যারা এই বই থেকে বাদ পড়েছেন তারা যদি নিজস্ব উদ্যোগে পরিচিতি পাঠান তাহলে ‘রাজপথের সহযোদ্ধা’ দ্বিতীয় সংস্করণে তা সংযুক্ত করা হবে।