ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে জার্মানিতে কার্ল মার্কস- 'সাম্যবাদ' এবং রেফিজিন ও সুলজি ভিনিস 'সমবায়বাদ' নীতি উদ্ভাবন করেন। উভয় নীতিরই লক্ষ্য হচ্ছে- (১) রাষ্ট্রই ভূ-সম্পত্তির প্রকৃত মালিক, (২) সকলে প্রত্যেকের এবং প্রত্যেকে সকলের জন্য, (৩) সংঘবদ্ধভাবে বিক্রয়, (৪) সমবেত মূলধনে বড় পরিকল্পনায় ধনোৎপাদন কর্মপন্থা এবং (৫) রাষ্ট্র ও কৃষকদের মধ্যে দালাল শ্রেণীর বিলোপ। উভয়ের মূল অমিল হলো, সাম্যবাদে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার বিলোপ, আর সমবায়বাদে-ব্যক্তি মালিককানা স্বীকৃত। জার্মানিতে প্রথম সমবায় নীতি' স্বীকৃতি পেল, আর ১৯১৭ সালে রাশিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হলো, সাম্যবাদের আগের স্তর-সমাজতন্ত্র নীতি। অতঃপর পৃথিবীর পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সমবায় নীতি আঁকড়ে ধরল, আর অপুঁজিবাদী অনুন্নত রাষ্ট্রের পরাধীন জাতিগুলো সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ল। A ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনচেতা তরুণেরা দেশ ও জাতিকে স্বাধীন করার জন্য একাধিকাবার সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে, জীবন দান করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁদের উদ্দেশ্য পূরন হয়নি। তাই স্বদেশী বা সন্ত্রাসবাদীরা সমা্যবাদীতে পরিবর্তীত হয়েছে। এভাবেই এককালের সন্ত্রাসবাদী কর্মী-