আল্লাহ তায়ালা বলেন : إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا (الكهف : ٧) অর্থ- নিশ্চয়ই যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম। (আল- কাহাফ: ৭) الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا (الملك: ٢) অর্থ- যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। (আল-মুলক: ২) لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا (هود: ۷ অর্থ- তিনি পরীক্ষা করেন, কে তোমাদের মধ্যে আমলে সর্বোত্তম । (হুদ : ৭) আল-কুরআনের উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে বুঝা যায় আল্লাহ পরীক্ষা করে দেখতে চান, কে আমাদের মধ্যে আমলে সবচেয়ে সুন্দর ও সর্বোত্তম। কে বেশি আমল করেছে আল্লাহ কিন্তু তা জানতে চান না। বরং তিনি নিশ্চিত হতে চান কে তার আমল সুন্দর ভাবে ও আন্তরিকতার সাথে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই সম্পন্ন করেছে। অতএব আল্লাহ নির্দেশিত, রাসূলুল্লাহ সা. প্রদর্শিত বান্দার করণীয় আমল যদি কমও হয় কিন্তু সেগুলো যদি সে কুরআন ও সুন্নাহ আন্তরিকতার সাথে, সঠিকভাবে এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই সম্পন্ন করে থাকে, তাহলে আল্লাহ তায়ালার নিকট ঐ কম আমলই গ্রহণযোগ্য ও বরকতময় হবে। একনিষ্ঠতার সাথে আমল করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন : وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ البينة :٥) অর্থ- আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে। (আল-বায়্যিনাহ : ৫) قُلْ إِنِّي أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ (الزمر: (١١) অর্থ- বল, ‘নিশ্চয়ই আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন আল্লাহর ইবাদাত করি তাঁরই জন্য আনুগত্যকে একনিষ্ঠ করে'। (আল-যুমার: ১১) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ الله لا يَنْظُرُ إِلى أَجْسامِكُم، وَلَا إِلى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وأعمالكم (مسلم)