মৌলবি আনছারউদ্দীন আহমদ-এর প্রথম ও প্রধান পরিচয় তিনি সুলতানুল আউলিয়া কুতবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ, হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর পাক রওজা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম। মৌলবি আনছারউদ্দীন (র.)-এর জন্ম ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে । পারিবারিকসূত্রে শৈশব থেকেই মিশন প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর সাথে তাঁর সম্পৃক্ত থাকার কথা। তবে মুর্শিদ মাওলার পত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে মুর্শিদ মাওলার সাথে তাঁর পত্রযোগাযোগ এবং আহ্ছানিয়া মিশনের সেবক বা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি মুর্শিদ মাওলার ছফরসঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি ক্রমাগত মুর্শিদ মাওলার ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হতে থাকেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি মুর্শিদ মাওলার সার্বক্ষণিক একান্ত সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং মুর্শিদ মাওলার নির্দেশে মুর্শিদ মাওলার অবর্তমানে তিনি পাক রওজা শরীফের খাদেমের দায়িত্ব পালন করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আহ্ছানিয়া ছেলছেলায় কোন গদিনশীন পীরের প্রথা মুর্শিদ মাওলা করে যাননি। তিনি আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। মিশনের মাধ্যমে এ ছেলছেলার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কিন্তু একাগ্রতা, নিবিড় সাধনা ও প্রেম বলে যারা আত্মিক উৎকর্ষতা অর্জন করবেন তাঁদের ছোহবতে অবলীলায় মানুষের মধ্যে খোদাপ্রেম প্রেরণা সঞ্চারিত হবে।