আমার বয়সসীমার মাত্র দুই দশক পেরিয়েছে। শিশু সুলভ মনোভাব তখনও কাটেনি। এমনিই এক মুহূর্তে এক মহান সাধকের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হইয়াছিল। সেই মহান সাধকের নাম সুলতানুল আউলিয়া, কুতবুল আকতাব, গওছে জামান, আরেফ বিল্লাহ, হজরত শাহ্ ছুফী, আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) । যিনি জাগতিক ও আধ্যাত্মিক মর্যাদার সুউচ্চ মার্গে উপনীত ছিলেন। তৎকালীন লন্ডনের রাণী এলিজাবেথের রয়্যাল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত (এম. আর. এস. এ) হইয়াছিলেন এশিয়া উপমহাদেশের মাত্র তের জন ব্যক্তি, তন্মধ্যে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) ছিলেন অন্যতম। তাঁহার জাগতিক মর্যাদা কত উর্দ্ধে ছিল তাহা সহজে অনুমেয়। তাঁহার আধ্যাত্মিক মর্যাদা সম্পর্কে সেরা আউলিয়াগণ কওল রাখিয়া গিয়াছেন । করাচীর ঠাট্টার দাদা গঞ্জেবক্স (রঃ), পাঞ্জাবের হজরত জাবের (রঃ), সিলেট শরীফের হজরত শাহজালাল (রঃ), ফুরফুরা শরীফের হজরত আবু বকর (রঃ), বশিরহাটের আল্লামা রুহুল আমীন (রঃ) ও গোনাকার কাটির আল্লামা আজীজুর রহমান (রঃ) বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে কওল রাখিয়া গিয়াছেন যে, হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) জামানার শ্রেষ্ঠ কুতুব, শ্রেষ্ঠ গাওছ ও শ্রেষ্ঠ আবদাল ছিলেন।