স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালির অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। তাঁরই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধোত্তর ধূসর বাংলাকে সবুজ বাংলায় তথা সোনার বাংলায় গড়ার জন্যে বঙ্গবন্ধু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে নতুন করে সামরিক শাসন শুরু হয়। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে স্বদেশে ফিরে আসেন। হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগকে। রাজনীতি হয়ে ওঠে তাঁর সাধনা। কিন্তু স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে তাঁকে অসংখ্যবার যেতে হয়েছে কারাগারে। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জয়ী হয়। তিনি হয়ে ওঠেন জননেত্রী এবং দেশরত্ন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তাঁর নেতৃত্বে কীভাবে সাফল্য অর্জন করেছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণমানুষের নেত্রী হিসেবে তিনি প্রশংসা লাভ করেছেন—এসব উঠে এসেছে আমিনুর রহমান সুলতানের 'বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ' শীর্ষক গ্রন্থে ।
আমিনুর রহমান সুলতানের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৪, ময়মনসিংহ জেলার কাঁচামাটিয়ার কাদাজল বিধৌত ঈশ্বরগঞ্জের খৈরাটি গ্রামে। বাবা: নাট্যাভিনেতা আজিজুর রহমান (প্রয়াত) মা: খােদেজা খাতুন। পেশা: উপপরিচালক, বাংলা একাডেমি, ঢাকা। তাঁর প্রকাশিত শিশুতােষ গ্রন্থ: সিজন ও মাহির প্রভাত ফেরি (গল্প), সকালবেলার পাখি (গল্প), ছােটদের বঙ্গবন্ধু (জীবনী), সােমেন চন্দের ছেলেবেলা (জীবনী), বাড়ির নাম ৩২ নম্বর (প্রবন্ধ), ভাষা আন্দোলনের কিশাের ইতিহাস (প্রবন্ধ)। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: জলের সিঁড়িতে পা, পানসি যাবে না সাঁতার যাবে, সাধুর কর, লােকগল্পের কবিতা প্রভৃতি। গবেষণা ও প্রবন্ধগ্রন্থ: বাংলাদেশের কবিতা ও উপন্যাস: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শালিহর গণহত্যা। পুরস্কার ও সম্মাননা: ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাহিত্য পুরস্কার ২০১২, হাসান হাফিজুর রহমান সাময়িকী পুরস্কার ২০১১, কবিতা সংক্রান্তি সম্মাননা ২০০৭।