অমরা রুটিন কেন করি? রুটিনে যে টাস্কগুলো করব বলে আমরা ঠিক করি, সেগুলো তো আমরা জানিই! কখন খাব, কী খাব, কখন ঘুমাব, কখন কতক্ষণ পড়াশোনা করব, কী পড়ব, কখন জিম করব—এসবই তো! তাহলে সেই জানা টাস্কগুলো নিয়েই রুটিন করা কেন? কারণ, রুটিন আমাদেরকে একটা লক্ষ্য ঠিক করে দেয়—আমাদেরকে একটা উদ্দেশ্য দেয়। আর একটি কাঙ্ক্ষিত সময় পর্যন্ত এই রুটিনমাফিক চলার পুরস্কার হিসেবে আমরা একটা কিছু অর্জন করি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট, ওজন কমানো, সিক্স প্যাক বড়ি- এসব হলো রুটিনমাফিক জীবন যাপনের শেষে আমাদের প্রাপ্তি।
তেমনিভাবে জান্নাত যদি আমাদের সত্যিকারের লক্ষ্য হয়, তাহলে সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্যও আমাদের কিছু মূলনীতি ঠিক করতে হবে, একটি রুটিন তৈরি করতে হবে, একটি জীবন যাপন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে—যার অনুসরণ আমাদেরকে জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যাবে। 44 Ways To Man hood বা ‘পুরোষোত্তম- ইসলামের আলোকে মুসলিম পুরুষের বৈশিষ্ট্য’ হলো সেই মূলনীতি, পথনির্দেশিকা।
আজকাল সমাজে সত্যিকার পুরুষ হওয়ার মানদণ্ড পাল্টে গেছে। অর্থ-সম্পদ কার বেশি, কার সিক্স প্যাক বডি, কে কয়টা মেয়ে পটাতে পারল―এসব আজ পুরুষ হওয়ার মানদণ্ড। কিন্তু ইসলামে পুরুষ হওয়া মানে দায়িত্ব নিতে পারা, নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারা। চারিত্রিক মাধুর্য, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি গুণ অর্জন করা।
একজন মুসলিম পুরুষের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে এবং কী কী গুণ অর্জন করতে হবে―এ বইতে সেগুলো মোট ৪৪টি শিরোনামে সাজানো হয়েছে।