আল-কুরআনে যে সকল নবির (আলাইহিমুস সালাম) নাম উল্লেখ আছে সেখান থেকে বাছাই করে পাঁচজন নবিকে নিয়ে এই বইটি সংকলন করা হয়েছে।যে পাঁচজন নবির ঘটনা দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে – ১। আদম আলাইহিস সালাম ২। নুহ আলাইহিস সালাম ৩। ইদরিস আলাইহিস সালাম ৪। হুদ আলাইহিস সালাম ৫। সালিহ আলাইহিস সালাম শিশুদের জন্য উপযোগী করে তোলার জন্য বইটির প্রতিটি গল্প সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। শিশুদের কাছে উপভোগ্য করে তোলার জন্য ঘটনা অনুযায়ী গল্পগুলোর সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এক কথায় রঙিন ও বাহারি ডিজাইনে বইটি হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। গল্পে গল্পে ৪০ হাদীস “গল্পে গল্পে ৪০ হাদীস” বইটিতে গল্পের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চল্লিশ হাদীস শেখানো হয়েছে। মহানবী ﷺ এর মুখ নিঃসৃত আসমানী বাণী উঠে এসেছে গল্পে গল্পে। প্রতিটি গল্পের নির্যাসে রয়েছে নবীজি ﷺ এর সুপরিচিত হাদীস। বইটির লেখক দক্ষ হাতে গল্পে গল্পে সাজিয়েছেন নবীজি ﷺ এর চল্লিশটি হাদীস – যা সহজেই বোধগম্য এবং মনে রাখার মতো। শিশু-কিশোরেরা, এমনকি আমাদের বড়রাও অনেক সময় তাত্ত্বিক আলোচনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলি, সেই যায়গা থেকে এই বইটি স্বতন্ত্র। ছোট বড় সবাই গল্পে গল্পে নবীজি ﷺ এর এই চল্লিশটি হাদীস উপভোগ করতে পারবে বলে আমি মনে করি। আর উপভোগ্য জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ কয়েকগুণ বেশীই থাকে। বইটির গল্পগুলো নিছক কোন গল্প নয়। বরং প্রতিটি গল্পই শিক্ষণীয়। আদব, আখলাক, আচার-আচরণ, পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ নবীজি ﷺ এর হাদীস থেকে জীবন গড়ার পাথেয় রয়েছে প্রতিটি গল্পে। গল্পে গল্পে হাদীসের শিক্ষাগুলো শিশু-কিশোরদের একাধারে একজন ভালো মানুষ, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, সেই সাথে একজন দ্বীনদার মানুষ হতে শিক্ষা দেবে। আমাদের শিশু-কিশোরেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের তরবিয়ত আমাদের হাতেই নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে সে চিনতে পারে তার সৃষ্টিকর্তাকে। তার আদর্শকে। তার জীবন চলার পথকে। এ জন্য তাদেরকে কল্পকাহিনী আর গাল্পগল্প না শুনিয়ে এমন কিছু শোনানো উচিৎ, যাতে তারা জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পায়। বড় হয়ে যেন মাতা-পিতাকে সম্মান করতে শিখে। উত্তম আদব, আখলাকে একজন সত্যিকারের মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে – এই দুআ ও প্রত্যাশায়। বদান্যতার গল্প শিশুরা যেহেতু গল্প শুনে মজা পায়, সেহেতু তাদেরকে গল্পে গল্পেই ভালো কিছু বিষয় শোনানো দরকার। এমনিতেই তাদের সামনে রয়েছে কতরকমের হাতছানি। মোবাইল, গেমস, ইউটিউব আরো অন্যান্য আকর্ষণীয় জিনিস। কিন্তু সেখানে রুহানিয়্যাত বলতে কিছু থাকে না বললেই চলে। বরং ভালো ভালো গল্পে শিশুদের মনে এক নেক ভাবনার উদ্রেক হয়। অন্তর স্বচ্ছ ও নরম হয়। ভালোমানুষি শেখা যায়।এসব বিষয়কে মাথায় রেখে আযান প্রকাশনীর এবারের আয়োজন এমনই একটি বই। মুহতারাম মুফতি মাহফুজ মুসলেহ শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা করেছেন বই “বদান্যতার গল্প।” বাহারী ডিজাইন ও নজরকারা শৈল্পিক ছোঁয়ায় বইটির সবগুলো গল্প হয়ে উঠেছে প্রানবন্ত।আমরা আশা করি বইটি শিশুদের ভীষণ পছন্দ হবে। এই বই থেকে তারা এত সুন্দর সুন্দর গল্প জানতে পারবে যে, একবসায় কোন গল্প শেষ না করে তারা উঠতেই চাইবে না। প্রতিটি গল্পে রয়েছে ভালো মানুষ হওয়ার খোরাক। এই বইটির প্রতিটি গল্প ছোটবেলা থেকেই তাদের মন মগজে গেঁথে যাবে, বড় হয়ে তাদের জীবনে এর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে ইন শা আল্লাহ!আমাদের শিশু-কিশোরেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের তরবিয়ত আমাদের হাতেই নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। শিশুরা গল্পে গল্পে একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষ হয়ে উঠুক। মানুষের প্রতি সহনশীল, সৌহার্দপূর্ণ ও সৃজনশীল আচরণ শিখুক। সত্যিকারের একজন আল্লাহর বান্দা হয়ে উঠুক – এই দুআ ও প্রত্যাশায়। এসো জান্নাতের গল্প শুনি আজকের বাচ্চারা উপেক্ষিত। সাহাবীদের সেই সোনালী যুগে বাচ্চাদের জন্য মাসজিদে ছিলো আলাদা কাতার, রমাদ্বানে সুযোগ ছিলো সিয়াম রাখার; সে যুগে তাদের বাবা-মারা তাদেরকে জান্নাতের সফলতা পাওয়ার জন্য জান্নাতের গল্প শুনাতেন। আর আমরা দুনিয়ার পরীক্ষায় সফলতার জন্য সন্তানদের গাঁধার মতো ঘরে আটকে রেখে বলি মাসজিদে যাওয়া লাগবে না, আজকে সিয়াম রাখা লাগবে না। মাসজিদগুলোতে কচিমুখের শিশুদের মুখ দেখা যায় না, ঘরের বুড়ো-বুড়িরা সাহরী খেতে জেগে উঠলেও খোকা-খুকিরা থাকে ঘুমিয়ে। আমরা ভুলে যাই মহান আল্লাহর সেই কথা, ‘’অতঃপর যাকে জাহান্নামের আগুন হতে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে ঢুকানো হবে সেই সফল হলো’’। [সূরা আলে ইমরানঃ ১৮৫] এসো গল্পে গল্পে কুরআন চিনি "এসো গল্পে গল্পে কুরআন চিনি” – বইটি আল-কুরআনের তিনটি সূরা নিয়ে গল্প সাজানো হয়েছে। সূরা ফীল, সূরা কুরাইশ ও সূরা আল-মাউন। বইটির লেখক দক্ষ হাতে গল্পগুলো সাজিয়েছেন। গল্পে গল্পে সুরাগুলোকে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি গল্পই জীবনঘনিষ্ঠ ও সহজেই মনে রাখার মতো। শিশু-কিশোরেরা, এমনকি আমাদের বড়রাও এই গল্পগুলো থেকে উপকৃত হতে পারবে ইন শা আল্লাহ!
তানবীর হাসান বিন আব্দুর রফীক। জন্ম ৬ জুন ১৯৯৪। ঢাকাতেই জন্ম, ঢাকাতেই বেড়ে উঠা আর বর্তমান অবস্থানও ঢাকা। দাখিল ও আলিমে বিজ্ঞান বিভাগ হতে A+ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর কওমী মাদ্রাসা হতে কৃতিত্বের সাথে দাওরা ফারেগ হন। লিখতে ভালোবাসেন মৌলিক বিষয়ে, যে বিষয়ে কেউ হাত দেয়নি এবং গুরুত্বের বিবেচনায়ও অগ্রগণ্য। ভালো লেখকের ভালো বিষয় হলে আরবী কিতাবও অনুবাদ করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দু'ই পুত্রশিশুর জনক। বড়দের নিয়ে মৌলিক লেখনীর পাশাপাশি ভাবেন ছোটদের নিয়ে। প্রথম বই ছোটদের নিয়ে। সামনে আরো লিখতে আকাঙ্ক্ষিত। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছেঃ এসো জান্নাতের গল্প শুনি, তাকদীরের প্রতি ঈমান (অনূদিত), ও দোটানায় দোদুল্যমান (অনূদিত)।