প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশ বিভূঁইয়ে চলেছি শূন্য হাতে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে। অনেক উত্থানপতনের মধ্যে জীবনের গতিপ্রকৃতি চলতে লাগল। চলতে চলতে একসময় আমার অবসর জীবনের সময় চলে আসল। অবসর জীবনে কিছু ব্যবসা—বাণিজ্যও করলাম। এ সময় আমার শরীরে কিছু কিছু রোগের আবির্ভাব হতে লাগল। প্রথমে ধরা পড়ল গ্যাসট্রিক রোগের প্রাদুর্ভাব। দেখতে দেখতে তা ক্রনিক রূপান্তরিত হয়। তারপর হয় হার্টের রোগ। এনজিও গ্রাম করে দেখা গেল সম্পূর্ণ ব্লক। তারপর করা হলো ঙঢ়বহ ঐবধৎঃ নু ঢ়ধংং ংঁৎমবৎু (২০১০)। তারপর ধরা পড়ল উরধনবঃবং রোগ। নিরাময়ের জন্যে ডাক্তারদের চেম্বারে যাওয়া আসা করেছি। এভাবেই চলছিল আমার জীবন। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে এসে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকাগুলো পড়লাম। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে অনেক সম্পাদকগণ তাদের পত্রিকার মাধ্যমে স্বাস্থ্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন প্রতি সপ্তাহে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারগণ সুন্দরভাবে বিভিন্ন রোগের ব্যাখ্যা ও নিরাময়ের দিক নিদের্শনা দিয়ে থাকেন। পত্রিকায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেসব কলাম মনোযোগ সহকারে পড়তাম। কারণ, আমি নিজেই অনেক রোগে আক্রান্ত। সে কারণে নতুন সপ্তাহের প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর খেঁাজে সবসময় তৎপর থাকতাম। একপর্যায়ে মনে হলো পত্রিকাগুলোর এই স্বাস্থ্যকথার সমস্যাগুলো ও তার সাথে ডাক্তার মহোদয়দের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রগুলো পৃথক আঙ্গিকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। সে লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে যেগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকথা আছে সেগুলোর পেপার কাটিং সংগ্রহ করা শুরু করি এবং বইয়ের আকারে সংকলন করে বেঁধে রাখার প্রবল বাসনা চরিতার্থ করার ইচ্ছা পোষণ করি। সে কারণেই এই প্রবল বাসনার বহিঃপ্রকাশ এই সংকলিত বইগুলো ‘স্বাস্থ্য সচেতনতাই জীবন’ ও ‘সুস্থ থাকার সহজ উপায়’। আমার প্রবল প্রত্যাশা, এসব বইগুলোর স্বাস্থ্যকথা একটি 'জবধফু জবভবৎবহপব' হিসেবে পাঠক হৃদয়ে রোগ নিরাময়ে স্বস্তির সঞ্চার করে বিমুগ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে এর উৎস পত্রিকাগুলোর সম্পাদকবৃন্দকে ও আমার সংকলিত বইগুলোর প্রতিও। তা হলেই আমি আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সফল মনে করব। সকলের দোয়া প্রার্থী।